বিজ্ঞাপন

বিজেএমসির কাছে বকেয়া ৫০০ কোটি টাকা দাবি পাট ব্যবসায়ীদের

September 5, 2018 | 8:07 pm

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

খুলনা: বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসির) কাছে প্রায় পাঁচ শ কোটি টাকা বকেয়া অবিলম্বে পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ পাট ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার ক্রিসেন্ট জুট মিলস অফিসার মিলনায়তনে পাট ব্যবসায়ীদের সমাবেশে তারা এ টাকা পরশোধের দাবি জানান। দেশব্যাপী সম্মিলিত পাট ব্যবসায়ী পরিষদের উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

পরে পাট ব্যবসায়ীরা এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় বক্তারা তিন বছরে এতবড় অংকের টাকার জন্য বিজেএমসির কর্মকর্তাদের অদক্ষতাকে দায়ী করেন পাট ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞাপন

পাট ব্যাবসায়ী নেতা মনিরুল ইসলাম বাশার জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭৮ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৮০ কোটি ও চলতি বছরে আরও ২৭ কোটি টাকাসহ প্রায় পাঁচ শ কোটি টাকা পাটকল গুলিতে বকেয়া পড়ে আছে ব্যবসায়ীদের।

পাট ব্যবসায়ী নেতা শেখ ইমারত হোসেন জানান, বিজেএমসির কর্মকর্তাদের অদক্ষতার জন্য পাটকল গুলোতে অবিক্রিত ৬০০ কোটি টাকার পাটজাত পণ্য পড়ে আছে। আর এ কারণেই গত তিন বছর পাট ব্যবসায়ীদের প্রায় পাঁচ শ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে।

ব্যবসায়ীরা আরও জানান, পাট কিনে মিলে পাট সরবরাহ করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ তাদের কাছে নেই। দেনার দায়ে অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে পাট সরবরাহ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে মিলগুলির ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলেও জানান তারা।

বিজ্ঞাপন

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মনিরুল ইসলাম বাশার। শেখ ইমাম হোসেনের পরিচালনায় এ সময় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দীন হাওলাদার, সাধারণ পাট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ মোড়ল, শ্রমিকনেতা সরদার মোতাহার উদ্দীন, সোহরাব হোসেন, খন্দকার আলমগীর কবির, শেখ আবু জাফর, বদিউজ্জামান খান, মোস্তাফিজুর রহমান আব্বাস, কারুজ্জামান মিঠু, মুজিব হোসেন তুরান, লুৎফর রহমান খান, জিয়াদ আহমেদ, চন্দন কুমার ভক্ত, লুৎফর রহমান বাবু, প্রদীপ কুমার সুর। পাট ব্যবসায়ীদের পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য সরকারের প্রতি জোর আহবান জানান তারা।

সিবিএ নেতা সোহরাব হোসেন জানান, পাটের ভরা মৌসুমে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে পাট ক্রয় করলে প্রতিমন পাটে ২ থেকে ৩ শ টাকা কমে ক্রয় করা যায়। তবে বিজেএমসির এক শ্রেণির কর্মকর্তা শিপারদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে পাট কলে অর্থ ছাড় দিতে সময় ক্ষেপণ করেন। যখন শিপারদের ঘরে পাট যায় তখন টাকা ছাড় দেওয়া হয়। আর তাদের কাছ থেকে পাট কিনে প্রতিবছর মিলের লোকসানের বোঝা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

এভাবে চক্রান্ত করে পাটকল গুলোকে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে পাটখাতের সঙ্গে জড়িত দেশের প্রায় ৬ কোটি মানুষ সংকট পড়তে বসেছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

সারাবাংলা/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন