আগামী বছর সরবে কারওয়ান বাজার

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, যানজট নিরসনে ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ তিনটি চিকেন মার্কেট আগামী বছর স্থানান্তর করা হবে।

তিনি বলেন, রাজধানীর মহাখালী, যাত্রাবাড়ী ও আমিনবাজারে তিনটি পাইকারি বাজারের নির্মাণ প্রকল্প চলছে। সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকার প্রকল্প তিনটি আগামী বছরের জুন মাসে শেষ হবে।

রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনের প্রথম দিনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে কারওয়ান বাজারসহ তিনটি চিকেন মার্কেট স্থানান্তরের মাধ্যমে ঢাকা শহরের যানজট নিরসন হবে এবং ন্যায্যমূল্যে কৃষিজাত পণ্য বাজারজাতকরণ সম্ভব হবে।

মন্ত্রী জানান, ২৪ কোটি ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড় থেকে উত্তরার হাউজ বিল্ডিং পর্যন্ত ১১টি ইউলুপের নির্মাণ কাজ চলছে। যা আগামী বছরের জুন মাসে শেষ হবে। এছাড়া ১৭৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে গাবতলী সিটি পল্লীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ক্লিনারবাসীদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ শীর্ষক একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে, এটিও আগামী বছরের জুন মাসে শেষ হবে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী ও উন্নত নাগরিক সেনা দিতে সক্ষম- এমন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের অংশগ্রহণ বেড়েছে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। বর্তমান সরকার সব সময় জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়। সুতরাং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ সরকার অব্যাহত রাখবে।

সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রামের অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দারিদ্র্য বিমোচন কৌশল এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাধিকারভুক্ত প্রকল্প হিসেবে ৮৫৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্প ২০১৯ সাল পর্যন্ত চলবে।

জাসদের সংসদ সদস্য লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল। ভবিষ্যতে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করতে সরকার ভূ-উপরিস্থ পনির উৎস ব্যবহারে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ঢাকা ওয়াসা ২০২১ সালের মধ্যে রাজধানী ঢাকাতে ভূ-গর্ভস্থ পানির উৎসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ উৎসের ব্যবহার বাড়াতে বড় তিনটি পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প নিয়েছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এটি