বিজ্ঞাপন

মনগড়া প্রতিবেদন দেওয়ায় সিজিএ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

September 9, 2018 | 10:30 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ক্ষমতার অপব্যবহার করে ‘মনগড়া ও মিথ্যা’ প্রতিবেদন দাখিলের মাধ্যমে সরকারের প্রায় ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি করায় হিসাব মহা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের (সিজিএ) প্রধান হিসাব রক্ষণ অফিসার মো. শামসুলের হকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) মামলার এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দুদক সহকারী পরিচালক আবুল হাশেম কাজী এ ঘটনার অনুসন্ধান করছেন।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘মো. শামসুল হক অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কারচুপির মাধ্যমে স্ট্যাম্প ক্রয়ের তারিখ পরিবর্তন করে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে সরকারের ৬৫ লাখ ৯২ হাজার ৯৯৭ টাকার আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত মনগড়া ও মিথ্যা নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিল করে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা এবং ১৯৭৪ সালের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে।’ দুদক বলছে, ঝালকাঠি সদর থানায় এ বিষয়ে দ্রুতই মামলা দায়ের হবে।

বিজ্ঞাপন

দুদকের অভিযোগে ঘটনার বিবরণে বলা হয়, ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে ঝালকাঠি সড়ক বিভাগাধীন ৬টি সড়ক মেরামত কাজ গ্রহণ করা হয়। কাজটি দেওয়া হয় সর্বনিম্ন দরদাতাকে এবং কাজ শেষে ঠিকাদারকেও বিল দেওয়া হয়। ৬টি কাজ যথানিয়মে সম্পন্ন করা হয় এবং কাজের পরিমাপ যথাসময়ে গ্রহণপূর্বক রানিং ও চূড়ান্ত বিল দেওয়া হয়।

উল্লিখিত ৬টি কাজ যথাসময়ে যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০১১-২০১২ সালে সম্পাদিত এই কাজের নিরীক্ষা করার জন্য পূর্ত অডিট অধিদফতরের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসার মো. শামসুল হকের নের্তৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম ঝালকাঠিতে যায়। নিরীক্ষা দলের টিম লিডার মো. শামসুল হক নিজেই ওই ৬টি কাজের নিরীক্ষা করেন। নিরীক্ষাকালে তিনি স্ট্যাম্প ক্রয়ের তারিখ ৫ এর আগে ২ বসিয়ে ২৫ বানিয়ে এবং ৭ এর আগে ২ বসিয়ে ২৭ বানিয়ে নিরীক্ষা শেষে ঢাকায় এসে ওই ৬টি কাজের বিপরীতে অবাস্তব স্ট্যাম্প ক্রয় ও চুক্তিপত্র সাক্ষর এবং অবাস্তব কাজ দেখিয়ে সরকারের ৬৫ লাখ ৯২ হাজার ৯৯৭ টাকা আর্থিক অনিয়ম বা আর্থিক ক্ষতির বিষয় উল্লেখ করে স্বাক্ষরবিহীন নিরীক্ষা প্রতিবেদন মহাপরিচালকের কার্যালয়ে দাখিল করেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমআই

বিজ্ঞাপন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন