বিজ্ঞাপন

নির্বাচনের সময় অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রস্তুত বিজিবি

September 10, 2018 | 1:19 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নির্বাচনের সময় র‌্যাব, পুলিশের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম। ওই সময় সীমান্তে ভারসাম্য রক্ষার জন্য ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে বিজিবি সহযোগিতা চেয়েছে বলেও জানান তিনি।

সোমবার  (১০ সেপ্টেম্বর) বিজিবি সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বিজিবি মহাপরিচালক।

মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে সাহায্য চাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় সীমান্ত রক্ষা ও অভ্যন্তরীণ আইনশঙ্খলা রক্ষা করতে দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাবে বিজিবি। তাই সীমান্তে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্যই দুই দেশের সীমান্তরক্ষী দুই বাহিনীর কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলে জানান বিজিবি প্রধান।

বিজ্ঞাপন

মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের সময় অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান যেন না হয়, সেজন্য বিজিবি গত তিন মাস ধরে কাজ করছে। নির্বাচনের মহড়া হিসেবেই বিজিবি এসব কাজ করেছে।

অরক্ষিত সীমান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তে অনেক দুর্গম পথ রয়েছে। যেখানে এক বিওপি থেকে আরেক বিওপি যেতে সাত দিন সময় লেগে যায়। এরপরও সব জায়গাতেই বিজিবির পদচারণা আছে। সেই অর্থে এখন অরক্ষিত বলতে কিছু নেই। তবে রাস্তার সমস্যা রয়েছে সেটা নিয়ে কাজ চলছে।’

সংবাদ সম্মেলনে মাদকের বিষয়ে বিজিবি প্রধান বলেন, যতদিন চাহিদা কমানো সম্ভব হবে না, ততদিন মাদক পাচার রোধ করা খুব কঠিন। চাহিদা কমে গেলেই পাচার রোধ সম্ভব। এরপরও বিজিবি মাদক পাচার রোধে যথেষ্ট কাজ করছে। প্রতিনিয়ত পাচারকারীরা কৌশল পরিবর্তন করছে। চাহিদা কমানোর জন্য বিজিবি কাজ করে না। অন্যান্য সংস্থা সেই কাজ করে থাকে। তারা সচেতনতার পাশাপাশি জেল জরিমানার কাজও করে থাকে।

বিজ্ঞাপন

সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় কবে আসবে বলে মনে করেন— জানতে চাইলে বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে অনেক বছর থেকে বিএসএফের সঙ্গে জোর তৎপরতা ছিল। তারা কথা দিয়েছিল, ধীরে ধীরে সীমান্তে হত্যার ঘটনা কমে আসবে। তার ফলে এ বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র একজন নিহত হয়েছে। অথচ ২০১৬ সালে নিহত হয়েছিল ২২ জন, আর ২০১৬ সালে প্রাণ হারিয়েছিল ৩১ জন। এর আগে ২০১৫ সালে সীমান্ত হত্যা হয়েছিল ৪৫ জন, আর ২০১০ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৬০ জন। তার মানে সীমান্তে হত্যার ঘটনা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নেমে আসছে।

ক্রাইম ফ্রি জোনের আওতায় কুমিল্লা ও কুড়িগ্রাম জেলাকে নিয়ে স্টাডি চলছে জানিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক জানান, খুব শিগগিরই ওই দু’টি জেলাকে ক্রাইম ফ্রি জোন হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে সাফিনুল ইসলাম বলেন, সবসময়ই ভারতীয় ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। যেমন— গত ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি একজন কৃষকের ২০টি মহিষ বর্ডার ক্রস করে মিয়ানমার গিয়েছিল। আমরা জানার পর ওই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সাথে কথা হলো। তারা দ্রুত ওই ২০টি মহিষ বিজিবি ক্যাম্পে ফেরত দিয়েছে। তারা ইয়াবা পাচার রোধেও আমাদের সাথে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি প্রধান বলেন, বিজিবির কোনো সদস্য মাদক পাচারে জড়িত থাকলে শাস্তি হিসেবে সরাসরি তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে। গত ঈদে ছুটিতে গিয়ে পুলিশের হাতে একজন বিজিবি সদস্য ধরা পড়েছে। আমরা বলে দিয়েছি, তার কোনো ছাড় নেই।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন