দেশে ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা ১৬৩টি: বাণিজ্যমন্ত্রী

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, দেশে সরকারিভাবে চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার সংখ্যা ১৬৩টি। রানা প্লাজা ধসের পর গঠন করা রিভিউ প্যানেল এই তথ্য জানিয়েছে।

তিনি বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর ইউরোপীয় ক্রেতা সংগঠন একর্ড, উত্তর আমেরিকার ক্রেতা সংগঠন অ্যালায়েন্স ও জাতীয় উদ্যোগের আওতায় তিন হাজার ৭৮০টি কারখানার প্রমিলারি অ্যাসেসমেন্ট শেষ করেছে। কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক, রাজউক, সিডিএ, কেডিএ ও বুয়েট-এর সদস্যদের সমন্বয়ে রিভিউ প্যানেল গঠন করা হয়। ওই প্যানেল ১৬৩টি কারখানাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে মো. মামুনুর রশিদ কিরণের (নোয়াখালি-৩) এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এই তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ১৬৩টি কারখানার মধ্যে ৩৯টি কারখানা বন্ধ ও ৪৭টি কারখানাকে আংশিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাকি কারখানাগুলোর সংস্কার কাজ চলছে। বর্তমানে একর্ড-এর সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির হার ৮৬ শতাংশ এবং অ্যালায়েন্সের হার ৯০ শতাংশ।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতীয় উদ্যোগের আওতায় রিমেডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল গঠন করা হয়েছে, যা কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের আওতায় স্বতন্ত্র ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। এ কার্যক্রমের অগ্রগতি তরান্বিত করতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর প্রকল্পের মাধ্যমে ৬০ জন প্রকৌশলী নিয়োগ করা হয়েছে। আইএলও’র সহযোগিতায় আরও ৪৭ জন প্রকৌশলী নিয়োগ করা হবে।

আরসিসিতে ১০৭ জন প্রকৌশলী চলতি বছরের জুলাই থেকে কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তোফায়েল আহমেদ।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এটি