বিজ্ঞাপন

চাপ না দিলে মিয়ানমার কথা রাখে না: প্রতিমন্ত্রী

September 11, 2018 | 2:51 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতায় দেখেছি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চাপ না দিলে মিয়ানমার কথা রাখে না। রাখাইনে গণহত্যার মতো যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে তার বিচার নিশ্চিতের জন্য মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে জনমত কাজে দিবে। বিশ্বের সকলে মিয়ানমারকে চাপ দিলেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং নাগরিক অধিকার নিয়ে তাদের আবাস-ভূমিতে ফিরতে পারবে।’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) ‘ওয়ান ইয়ার অন: টাইম টু পুট উইমেন অ্যান্ড গার্লস এট দ্য হার্ট অব দ্য রোহিঙ্গা রেসপন্স’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন। রাজধানীর মহাখালিতে একটি বেসরকারি মিলনায়তনে প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অক্সফামের আয়োজনে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক প্রতিনিধি দিপঙ্কর দত্ত, সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, জাতিসংঘের নারী বিষয়ক আবাসিক প্রতিনিধি শকো ইসিকাওয়াসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নারী ও শিশুরা যে সমস্যার মধ্যে রয়েছে তার জন্য স্থায়ী এবং টেকসই সমাধান জরুরি। সে জন্য আমরা মিয়ানমার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি এবং নেপিডোর সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি করেছি।’

রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের প্রতি বাংলাদেশ বিশেষ যত্ন নিচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ৩৪ হাজার ৩৩৮ গর্ভবতী নারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৫৫৪ জন শিশু বিশেষ ব্যবস্থায় ভূমিষ্ট হয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ৮ হাজার ১৭০টি চাপকল, ৫০ হাজার ৫০৮টি শৌচাগার এবং ১১ হাজার ১৯০টি স্নানাগার নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি নারীদের জন্য ছাদসহ পৃথক স্নানাগার নির্মাণ করা হয়েছে।’

রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশের বিশেষ মনোযোগ রয়েছে উল্লেখ করে মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘১১ টি নিরাপত্তা চৌকিতে অতিরিক্তি ১ হাজার ২০০ জন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। রাতের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ৫০টি স্ট্রিট লাইট, ১০টি ফ্লাড লাইট এবং ১ হাজার ৪০টি সোলার বাতি রাস্তাকে আলোকিত করছে।’

বিজ্ঞাপন

‘ওয়ান ইয়ার অন: টাইম টু পুট উইমেন অ্যান্ড গার্লস এট দ্য হার্ট অব দ্য রোহিঙ্গা রেসপন্স’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে অক্সফামের পক্ষ থেকে বলা হয়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর যেসব নারীরা বাংলাদেশের একাধিক আশ্রয় শিবিরে বাস করছে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না, পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পাচ্ছে না। প্রয়োজনীয় সেবা না পাওয়ায় এইসব নারীরা বিভিন্ন ধরনের অপব্যবহারের ঝুঁকিতে রয়েছে।

সারাবাংলা/জেআইএল/এমএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন