বিজ্ঞাপন

জেনে, বুঝে ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করবেন: প্রধানমন্ত্রী

September 12, 2018 | 12:02 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা যে প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করবেন, সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সকল তথ্য সংগ্রহ করে নেবেন, সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেবেন, তারপর দেখে, শুনে, বুঝে বিনিয়োগ করবেন। আপনি কোথায় বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন সেটার ভবিষ্যৎ কি? সে বিষয়ে যথেষ্ট সজাগ থাকবেন। বিনিয়োগ করে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হোন এটা আমরা কখনো চাই না। তবে খুব বেশি যেন লোভে পড়ে না যান। হিসাব করে পা ফেললে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)‘র ২৫ বছর রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন এর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বক্তব্য রাখেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো: আসাদুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার হবে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের এক নির্ভরযোগ্য উৎস। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি‘র ভুমিকা পুঁজিবাজার বিকাশে অব্যাহত রাখতে হবে। যাতে করে বাজার আরো গতিশীল হবে। আমাদের সরকার ভবিষ্যতে পুঁজিবাজার বিকাশে সর্বাত্মক সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে পুঁজিবাজার। এর বিকাশে সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভারত চীনসহ বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ে আগ্রহী হয়েছে। এরই মধ্যে চীন বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার হবে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের স্থান। পুঁজিবাজার আজ স্থিতিশীল অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার আজ বিকাশমান ও সম্ভাবনাময় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলতে চাই না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনার ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছি। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে বাজেট করছি। এক সময় বাজেট করতে অন্যর কাছে হাত পাততে হতো। আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশ আজ আর সেই অবস্থানে নেই। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এখন ৭ দশমিক ৮ ভাগে উন্নিত করতে সক্ষম হয়েছি। মূল্যস্ফীতি এখন ৫ দশমিক ৪ ভাগে নেমে এসেছে। প্রবৃদ্ধি যখন উচ্চ থাকে এবং মূল্যস্ফীতি যখন নিম্নমুখী থাকে তখন অর্থনৈতিক সুফল জনগণ ভোগ করতে পারে। এখন প্রবৃদ্ধি বেশি ও মূল্যস্ফীতি কম হওয়ায় সাধারণ মানুষ এর সুফল ভোগ করছেন। তিনি বলেন, সাধারণত বর্ষাকালে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। কিন্তু এবারের বর্ষায় দাম বাড়েনি। খাদ্যপণ্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের নানান উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের কারণে দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। আশা করছি ভবিষ্যতে এই হার আরো কমিয়ে আনতে পারবো। সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মানুষের দিন বদল হয়েছে, ভাগ্য বদল হয়েছে, আর্থসামাজিক উন্নয়ন হয়েছে, শিল্পায়ন হয়েছে। দেশ ডিজিটালাইজেশনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৩ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে, ৮ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এখন অনলাইনে কেনাকাটা করা যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নের জন্য সারাদেশে ১০০টি শিল্পায়ন অঞ্চল গড়ে তুলছি। যাতে সমগ্র বাংলাদেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। বেসরকারী খাতকে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে, যাতে করে দেশের উন্নয়ন হয়। বর্তমানে এর সুফল দেশবাসী পেতে শুরু করেছে।

সারাবাংলা/জিএস/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন