বিজ্ঞাপন

এখানে এলে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে: প্রধানমন্ত্রী

September 13, 2018 | 9:10 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: শাহবাগে হোটেল ‘ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা’ এলাকায় এলে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পাঁচ তারকা মানের হোটেল ‘ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তেজগাঁও বিমান হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে বাংলা একাডেমি এলাকার এই রাস্তায় আইল্যান্ডে সবুজের সমারোহ ছিল। এপ্রিল মাসে কৃষ্ণচূড়া ফুটত। এখানে নাগলিঙ্গম গাছও ছিল। চারপাশে নাগলিঙ্গমের ঘ্রাণ ছিল। ওই ঘ্রাণে সাপও আসত।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর মিলিটারি ডিকটেকটর ক্ষমতায় এলো। মিলিটারি ডিকটেটরদের ভয় থাকে গাছের ওপর থেকে কেউ হয়ত আক্রমণ করে বসবে। এই কারণে সব কৃষ্ণচূড়া গাছ কেটে ফেলে, আমাদের চোখে এখনও এ সব দৃশ্য ভাসে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘জাতির জনক স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলেন। আমরা এখন দারিদ্র্য হ্রাস করে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা উন্নয়নশীল দেশের পথে ধীরে ধীরে এগুচ্ছি। সারাবিশ্ব আজ উন্নয়নের রোল মডেল।’

‘আমার দেশের যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের নবযাত্রা শুরু’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ, ইপিআর আক্রমণ চালায়। যখন রাজারবাগ পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ চলছিল তখন জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সেই মুহূর্তে ইপিআরের চারজন সদস্য বসেছিলেন। তারা স্বাধীনতার এই বার্তাটি পৌঁছে দেন। ওই চারজনকে ধরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।’

‘এই হোটেলে যে সাংবাদিকরা ছিলেন। সাংবাদিকদের বন্দি করা হয়। কোনো সাংবাদিক বাইরে যেতে পারবেন না। সায়মন ড্রিং লুকিয়ে কিচেনে চলে যান। সেখান থেকে হোটেল কর্মচারীদের সহযোগিতায় বের হয়ে যান। যে গণহত্যা শুরু করেছিল সেই ছবি অগ্নিসংযোগের ছবি তোলে। এই বার্তাটি তিনি বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেন।’

‘কাজেই এই হোটেলদের সঙ্গে আমাদের ইতিহাসের সম্পর্ক জড়িত’ বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

‘এই রাস্তা দিয়ে দোতলা বাস চলত, রিকশা চলত। এটি এখন ভিআইপি রাস্তা। আজ হোটেলটি চমৎকার সুন্দর সাজে সেজেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। জাতির পিতা যেভাবে দেশ স্বাধীন করেছিলেন আমরা সেভাবে সোনার বাংলাদেশ গড়ে ‍তুলব।’

সারাবাংলা/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন