বিজ্ঞাপন

‘মানুষকে বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি দেওয়াই দায়িত্ব’

September 15, 2018 | 2:55 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬— এই ২১ বছরে ক্ষমতাসীনদের ঘিরে থাকা কিছু মুষ্টিমেয় মানুষেরই কেবল উন্নতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘ওই ২১ বছরে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাদের বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি দেওয়াই আমার দায়িত্ব। রাজনীতি করি বাংলার জনগণের জন্য। প্রতিটি মুহূর্তে সময় ব্যয় করি দেশের উন্নয়নের জন্য। নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য নয়। আর সে কারণেই আজ দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।‘

শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) তিন দিনব্যাপী ২২তম জাতীয় সম্মেলন ২০১৮-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে সুইচ চেপে আইডিইবি ভবনের সামনে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের ম্যুরাল উন্মোচন করেন শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিইবি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইডিইবি’র কেন্দ্রীয় নিবাহী কমিটির সভাপতি এ কে এম হামিদ।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দেশে ফিরতে পারেননি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতাকে যখন হত্যা করা হয়, তখন দেশের বাইরে ছিলাম। ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি। আমাদের দেশে আসতে দেওয়া হতো না। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন আমাকে সভানেত্রী করল, অনেকটা জোর করে দেশে ফিরে এলাম। তারপর থেকে আমার প্রচেষ্টা যেন স্বাধীনতাকে মানুষের অর্থবহ করে তোলা যায়। ১০ বছরের ছেলে, আট বছরের মেয়েকে স্নেহ থেকে বঞ্চিত করে চলে এসেছিলাম বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়াতে। তারা ছিল শোষিত-বঞ্চিত-নির্যাতিত; মুষ্টিমেয় লোকরা ধনশালী সম্পদশালী হয়েছিল, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই অবহেলার শিকার ছিল। আমরা পরিকল্পিতভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি দেখেই আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের সামনে অনেক দূর যেতে হবে। সে পরিকল্পনাও আমরা নিয়েছি।’

সরকারি চাকরিজীবীদের ১২৩ ভাগ বেতন বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সেভাবে বেতন বাড়িয়ে দিয়েছি। প্রত্যেকের কাজের সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দিয়েছি। কর্মক্ষেত্রে কাজের পরিবেশ যেন সুন্দর হয়, সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমরা এত বেশি প্রকল্প হাতে নিয়েছি এবং কাজ করে যাচ্ছি যে তার শুভ ফল বাংলাদেশের জনগণ পাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বেতন পর্যালোচনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ যত বেশি উন্নত হবে, তত বেশি সুযোগ তৈরি হবে। যে হারে বেতন বাড়িয়েছি, এরপরে বোধহয় আর কোনো দাবি না করাই ভালো ছিল। তারপরও দাবি উঠেছে, এ বিষয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিও করা হয়েছে। তাদের সুপারিশ এবং চাকরি বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রাথমিক নিযুক্তিতে একটি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট এবং পরিকল্পনা ও নকশা বিভাগে কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, উপসহকারী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলীদের ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয় এরই মধ্যে বৈঠক করেছে এবং শিগগিরই একটি ঘোষণা মন্ত্রণালয় দেবে বলে বিশ্বাস করি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সাধারণত বর্ষাকালে বাংলাদেশে সব জিনিসের দাম বাড়ে। কিন্তু এবার দাম বাড়েনি। দেশে মুদ্রাস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আছে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন করার কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুন-

‘মানুষের আরাম-আয়েশের জন্য বহুমুখী কাজ করে যাচ্ছি’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন