বিজ্ঞাপন

যৌতুক দেওয়া, নেওয়া বা সহায়তা করলে ৫ বছরের কারাদণ্ড

September 16, 2018 | 10:44 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: যৌতুক দেওয়া, নেওয়া, যৌতুক দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা কিংবা যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলা করলে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে একটি বিল পাস হয়েছে।

আজ রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ নামের বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিলটির ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

গত ২৫ জুন জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ওই বিলটি উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়নে বিলটি তোলা হয়। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়। আগের আইনে যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনো দণ্ডের বিধান ছিলো না। সংসদে পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, কাউকে ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে ৫ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

বিয়ের ক্ষেত্রে যদি কোনো এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে, তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর, কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বিলে আরও বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য হবে।

বিজ্ঞাপন

তবে এ সংক্রান্ত মামলা আপসযোগ্য হবে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যৌতুক প্রথা এক ভয়ানক সমস্যা। এর কারণে অনেক সময় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পরিকল্পনা, প্রণয়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাধাগ্রস্ত হয়।

বর্তমানে নারীর শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতির ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান প্রায় শীর্ষে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় বিধি বিধান অনুযায়ী নারীসমাজকে তাদের সুযোগ-সুবিধা অধিকার প্রাপ্যতার বণ্টনও করতে হবে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন