November 29, 2017 | 11:05 am
সারাবাংলা ডেস্ক
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে অসুস্থ রোগীরা আত্মহত্যা করতে পারবে। আইন পরিষদে ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তুমুল বির্তকের পর যুগান্তকারী এই আইনটি পাশ হল। এ নিয়ে দুই রাত টানা বির্তক চলছিল। এ আইনের ফলে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় জনবসতিপুর্ণ রাজ্যে মুমূর্ষু রোগীরা ২০১৯ সালের মাঝামাঝি থেকে প্রাণনাশক ঔষুধ ব্যবহারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে তাদের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছরের বেশি হতে হবে এবং তাদের ছয় মাসের বেশি বাচাঁর সম্ভাবনা থাকবে না ।
‘আমি গর্বিত যে আমরা আমাদের সংসদ এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মূলে সমবেদনার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি,’ রাজ্যের প্রধান ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ বলছিলেন।
‘এটাই রাজনীতি এবং এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ। আর ভিক্টোরিয়া যে টা করে আমাদের জন্য সেটাই শ্রেয়।’ বলছিলেন তিনি।
বলপ্রয়োগ থেকে রক্ষাকবচ
যেসব রোগী খুব মারাত্মক কষ্ট অনুভব করেন তাদের জন্য এই আইনটি করা হয়েছে। রক্ষাকবচ হিসেবে এ আইনের ৬৮টি শর্ত রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল :
এছাড়া, রোগীদের অবশ্যই ভিক্টোরিয়া রাজ্যে কমপক্ষে ১২ মাস বসবাস করতে হবে এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।
জটিল রোগে (যেমন মোটর নিউরন ডিজেজ নামে পরিচিত এমাইয়োট্রোফিক ল্যাটেরাল স্খলনোসিস) আক্রান্ত রোগীদের বাচাঁর সম্ভাবনা ১২ মাসের কম থাকলে তাদের জন্য আইনটি প্রযোজ্য হবে।
২৬ ও ২৮ ঘণ্টার দুটি পৃথক অধিবেশনে বির্তকের পর বুধবার বিলটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
কয়েকজন সংসদ সদস্য বিলটির তীব্র বিরোধিতা সমালোচনা করছেন। তারা বিলটিতে শত শত সংশোধন নিয়ে আসার প্রস্তাব করেছিল।
১৯৫৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিশ্বের প্রথম স্বেচ্ছায় যন্ত্রণাহীন মৃত্যু আইন চালু হয়। কিন্তু আট মাস পর ক্যানবেরার ফেডারেল কতৃপক্ষ আইনটি বিলুপ্ত করে।
কিন্তু রাজ্যের ক্ষেত্রে ফেডারেল সরকার একই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে না।
কানাডা, নেদারল্যান্ড এবং বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশে এর আগে মুমূর্ষু রোগীদের ডাক্তারি তত্ত্বাবধানে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আইন পাশ করা হয়। সূত্র : বিবিসি।
একে