বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গাদের কারণে হুমকির মুখে কক্সবাজারের জীববৈচিত্র্য: ইউএনডিপি

September 19, 2018 | 2:13 pm

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশের নয়নাভিরাম পর্যটন এলাকা কক্সবাজারের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির প্রকাশিত ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে পরিবেশগত প্রভাব’ বিষয়ক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

ওই প্রতিবেদনে ইউএনডিপি বলছে, রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়স্থল তৈরি, রান্নার কাঠ সংগ্রহ এবং অন্যান্য সুবিধা দিতে গিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৪ হাজার ৩শ’ একর পাহাড় ও বন কেটে ফেলা হয়েছে। এতে পরিবেশগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশের তিনটি স্থানের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মহসীন চৌধুরী, প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ শফিউল আলম চৌধুরী, ইউএনডিপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মহসীন।

এ সময় বক্তারা বলেন, কক্সবাজারে আগে থেকে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা, স্থানীয় অধিবাসী এবং গত বছরের আগস্ট থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মিলে প্রায় ১৫ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বসবাস করছে। এতে ওই এলাকার পরিবেশ-প্রতিবেশের ওপর ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়েছে। যা এখনও পুরোপুরি উদঘাটিত হয়নি।

বিজ্ঞাপন

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইউএনডিপি ও ইউএন ওম্যান যৌথভাবে এই জরিপ পরিচালনা করেছে বলেও জানান তারা।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, সরকার মূলত মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে আশ্রয় দিয়েছিল। কিন্তু ১১ লাখ রোহিঙ্গা সেখানে আশ্রয় নেওয়ায় এখন সেখানকার পাহাড়ি জমি নষ্ট হচ্ছে। গাছ কেটে ফেলার কারণে পাহাড় ও পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন। জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে।

তিনি বলেন, অল্প জায়গায় অধিক মানুষ থাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং অগ্নি নিরাপত্তার অভাব দেখা দিয়েছে। পরিবেশগত ক্ষতি রোধ করতে তিনি এই এলাকায় বনজ ও ফলজ গাছ লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গার যেসব এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে, সেখানকার স্থানীয়রাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহকে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়নেও এগিয়ে আসার আহবান জানান। বাসস।

সারাবাংলা/এএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন