বিজ্ঞাপন

কারও মান ভাঙাতে যাওয়ার ইচ্ছা নেই: প্রধানমন্ত্রী

September 19, 2018 | 8:18 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিএনপি বিএনপি চেয়ারপারসনের নাম উল্লেখ না করে তার প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কারও মান ভাঙাতে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা তার নেই।

তিনি বলেন, ‘কে মান-অভিমান করল, আর কার মান ভাঙাতে যাব, সেটা জানি না। সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে যদি অপমানিত হয়ে ফিরে আসতে হয়, সেখানে আর যাওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। এইটুকু আমি বলতে পারি।’

আরও পড়ুন- ‘যত রাস্তা করেছি বলতে গেলে কয়েকদিন লেগে যাবে’

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সম্পূরক প্রশ্নে ফখরুল ইমাম কবিতার ছন্দে বলেন, ‘একটি পিছিয়ে পড়া জাতিকে উন্নয়নে ভাসিয়ে দেওয়ার নাম শেখ হাসিনা। পলিটিক্যাল অভিমানটা চলছে.. কোনোমতেই রোহিঙ্গার থেকে একটা কম সমস্যা না। কিভাবে সমাধান করবেন, আমি একটু জানতে চাই।’

কবিতার ছন্দে প্রশ্ন করার জন্য ফখরুল ইমামকে ধন্যবাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে মান-অভিমানটা কোথায়, ঠিক আমি জানি না। এটা হচ্ছে নীতির প্রশ্ন। এটা হচ্ছে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রশ্ন, আর আইনের প্রশ্ন।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কেউ যদি অন্যায় করে, কেউ যদি অপরাধ করে, কেউ যদি অর্থ আত্মসাৎ করে, কেউ যদি চুরি করে, কেউ যদি খুন করে, খুনের প্রচেষ্টা করে, গ্রেনেড মারে, বোমা মারে; তার বিচার হবে— এটাই স্বাভাবিক।’

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- ‘রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে মিয়ানমার’

তিনি আরও বলেন, রাজনীতি সবাই করে যার যার নিজের আদর্শ নিয়ে। আর দেশটা সবার। দেশটা এমন নয় যে আমাদের একার। যারাই রাজনীতি করবেন তাদের দেশের প্রতি, দেশের জনগণের প্রতি একটা দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। সেই দায়িত্ব থেকেই তারা নিজ নিজ কর্মপন্থা ঠিক করবেন এবং কাজ করবেন। এটা হলো বাস্তবতা। আমরা আমাদের স্বার্থে রাজনীতি করি না। নিজের লাভ-লোকসানের জন্য রাজনীতি করি না, সেই হিসাবও করি না। হিসাব করি জনগণের জন্য কতটুকু দিতে পারলাম, কতটুকু করতে পারলাম। জনগণের জীবনমান কতটুকু উন্নত হলো— এটাই আমরা দেখার চেষ্টা করি। আর সেভাবেই আমরা পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নেই এবং বাস্তবায়ন করি।

‘নিঃস্বার্থভাবে দেশের মানুষকে ভালোবেসে দেশের উন্নয়নে, দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি বলেই কিন্তু আজকে এত অল্প এত উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। তা না হলে এটা কখনও সম্ভব না,’— বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগের সরকারগুলোর কাছে জনগণের স্বার্থের তুলনায় ব্যক্তিস্বার্থ বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বলেই দেশের কোনো উন্নয়ন হয়নি বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আর আমার ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থ বেশি বড়, জনগণের স্বার্থ বেশি বড়। সাধারণ মানুষের স্বার্থটাই আমার কাছে বড়, আমার ব্যক্তিস্বার্থ নয়। কী পেলাম, কী পেলাম না, সেই হিসাব করি না। আন্তরিকতার সঙ্গে কাজটা করছি বলেই দেশটাকে উন্নত করতে পারছি।’

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন