September 20, 2018 | 6:48 pm
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও যৌন হয়রানি থেকে নারীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমাদের দেশে এই সংক্রান্ত একটি আইন পাস হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের উদ্যোগে প্রস্তাবিত ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১৮’ হস্তান্তর সম্পর্কিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার এ মন্তব্য করেন।
মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও যৌন হয়রানি থেকে নারীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমাদের দেশে এই সংক্রান্ত একটি আইন পাস হওয়া উচিত। সরকারিভাবে না হলেও বেসরকারিভাবে যেকোনো সংসদ সদস্য এ সংক্রান্ত একটি বিল সংসদে উত্থাপন করতে পারেন।’
সভায় উপস্থিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা চাইলে আপনাদের মধ্য হতে একজন এই বিলটি সংসদে উত্থাপন করতে পারেন। আজই সংসদ সচিবালয়ে এই বিষয়ে একটি নোটিশ দেন, যাতে আপনি পরবর্তী অধিবেশনের শুরুতেই বিলটি উত্থাপন করতে পারেন।’
জাতীয় সংসদ ভবনের মিনিস্টার হোস্টেল সংলগ্ন আইপিডি সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন- পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস এর সভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশা। সভায় সংসদ সদস্যদের মধ্যে- নাজমুল হক প্রধান, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, জেবুন্নেসা হীরণ, মো. আবুল কালাম, পঞ্চানন বিশ্বাস, মো. ইয়াসিন আলী, কাজী রোজী, অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম, কামরুন্নাহার চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, উম্মে রাজিয়া কাজল এবং অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বক্তব্য রাখেন।
সভাটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়া সভায় চারজন সিনিয়র জজ এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভাটি গার্লস অ্যাডভোকেসি অ্যালায়েন্স এবং প্ল্যান ইন্ট্যারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর সহায়তায় অনুষ্ঠিত হয়।
মীর শওকাত আলী বাদশা বলেন, ‘আমি মনে করি, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে এটি একটি ভাল বিলের খসড়া হয়েছে। বিল পাস হলে আমাদের নারীরা ও কন্যাশিশুরা উপকৃত হবেন। বিলটি সংসদে উত্থাপন করার ব্যাপারে মাননীয় ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া সহায়তা করবেন বলেছিলেন, তিনি তাঁর কথা রেখেছেন। বেশ কয়েকজন বিচারক আইনটির খসড়া তৈরিতে অবদান রেখেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।’
সুজন এর সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু একইসঙ্গে নারীরা এখনো বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও বঞ্চনার শিকার হন। তাই নারীদের সুরক্ষা বিশেষ করে যৌন হয়রানি থেকে তাদের সুরক্ষা প্রয়োজন। আমরা আশা করি আইনটি দ্রুত সংসদে পাস হবে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও