বিজ্ঞাপন

‘উন্নয়নের জন্য সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন প্রয়োজন’

September 23, 2018 | 3:38 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, শুধু নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা নয়, দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।

রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আয়োজনে ‘জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন নয়, নির্বাচন চাই’ শীর্ষক রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সিপিবির সভাপতি বলেন, ‘ক্ষমতায়ন শুধু আইন দিয়ে হয় না। নারী রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন করতে হলে তার অর্থনৈতিক উন্নয়ন দরকার। তাই নারীর সম্পত্তিতে অধিকার, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এই বিষয়গুলোতেও ধরতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

৭২ এর সংবিধন মনগড়া কোনো সংবিধান নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমাদের দীর্ঘ সংগ্রামের অভিজ্ঞতার আলোকে একটি সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল। সেখানেও আমরা তিনটা বিষয়ে বিরোধিতা করেছিলাম। তার একটি ছিল সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম। তিনি বলেন, ‘সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি তিন দশকের। বর্তমান সরকারের ১৪ দলীয় জোট তাদের ২০০৮ সালে তাদের ম্যানুফেস্টুতে সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের প্রতিশ্রুত দিয়েছিল। এর মধ্যে দেশে অনেকরকম আইন সংশোধন হলেও এই প্রতিশ্রুতিটি ভঙ্গ করে সংবিধানের ৬৫(৩) ধারা সংশোধন করে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনায়ন পদ্ধতি বহাল রেখে নারী আসনের সময়সীমা ২৫ বছরের জন্য বৃদ্ধি করে।’

আয়েশা খানমের মতে, নারীর সংখ্যাগত উন্নয়নের চেয়ে নারীর রাজনৈতিক অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিকী অংশগ্রহণ থেকে বের হয়ে সত্যিকার অংশগ্রহণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসিমা আক্তার হোসেইন। তিনি বলেন, ‘নারীর সংরক্ষিত আসন থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিভিন্ন সময় সংসদে নারী উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলো নারী প্রতিনিধিদের থেকেই এসেছে। তবে সরাসরি নির্বাচিত না হতে পারার কারণে সংসদে তাদের প্রভাব কম থাকছে বলে অভিযোগ তাদের। তাদের এই অবস্থা থেকে মুক্ত করে সত্যিকারভাবে নারীদের প্রতিনিধিত্ব করাতে হলে সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন।’

এখানে নির্বাচন কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে জানিয়ে অধ্যাপক নাসিমা আক্তার রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য অন্তত ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়নের নিয়ম করার প্রস্তাবও রাখেন। পাশাপাশি নারী প্রার্থীদের অবমাননার বিষয়টি নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনে যুক্ত করার দাবিও করেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, দৈনিক সমকালের উপ-সম্পাদক অজয় দাশগুপ্তসহ আরও অনেকে।

সভায় জাতীয় মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে দুই টার্মের জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন, আসন সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি এবং নির্বাচনী এলাকা পুনর্নির্ধারণের দাবি পুনরায় তোলা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমএ/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন