বিজ্ঞাপন

‘বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসার সিদ্ধান্তে আরও সময় চেয়েছেন খালেদা জিয়া’

September 24, 2018 | 3:12 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেবেন কিনা, তা জানাতে আরও সময় চেয়েছেন খালেদা জিয়া।

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিজ কার্যালয়ে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা একাধিকবার খালেদা জিয়ার কাছে জানতে চেয়েছি, তিনি বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা নেবেন কিনা। একাধিকবার জিজ্ঞাসা করার পর তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি ভেবে দেখবেন।

বিজ্ঞাপন

খালেদা জিয়া তার সিদ্ধান্ত জানালে কারা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে জেল কোড অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন আইজি প্রিজন।

এর আগে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন তার চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউয়ের পাঁচ চিকিৎসক— মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম এ জলিল, কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক, অর্থপেডিক বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বিরু, চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারিক রেজা আলী ও ফিজিক্যাল মেডিসিন সহযোগী অধ্যাপক ডা. বদরুন্নেসার সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড। পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউয়ে ভর্তি করে চিকিৎসার সুপারিশ করেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা

স্বাস্থ্য পরীক্ষায় খালেদা জিয়ার গুরুতর কিছু পাওয়া যায়নি জানিয়ে এদিন বিএসএমএমইউয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘খালেদা জিয়া হাসপাতাল ভর্তি হতে চাইলে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ভালো হবে বলেই মতামত দিয়েছেন তার চিকিৎসার জন্য গঠিত হওয়া মেডিকেল বোর্ড।’

বিজ্ঞাপন

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায়ে পাঁচ বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। ওই দিনই তাকে আদালত থেকে নেওয়া হয় পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। গত সাত মাসের বেশি সময় ধরে তিনি সেখানে সাজা ভোগ করছেন।

খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার পর থেকেই বিএনপি দাবি করে আসছে, তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে এবং তার সুচিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবি করা হয়।

এদিকে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার একাধিক শুনানির তারিখ পড়লেও সেসব শুনানিতে শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে হাজির হননি খালেদা জিয়া। সর্বশেষ গত ৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ওই আদালত স্থানান্তর করা হয় কারাগারে। ৫ সেপ্টেম্বর কারাগারেই বসে আদালত। সেদিন আদালতে হাজির হয়ে খালেদা জিয়া বলেন, শারীরিক অবস্থার কারণে তার পক্ষে আর আদালতে হাজির হওয়া সম্ভব না। আদালত যা খুশি সাজা দিতে পারেন। পরে ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর কারাগারে আদালত বসলেও হাজির হননি খালেদা জিয়া।

এর মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড কিংবা অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তির কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জেল কোড অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই অনুযায়ীই বিএসএমএমইউয়ের পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে গঠিত হয় মেডিকেল বোর্ড। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে মেডিকেল বোর্ডে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসককে রাখার দাবি করা হলেও সেই দাবি মানা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন