বিজ্ঞাপন

মানব পাচারের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে: জাতিসংঘে প্রতিমন্ত্রী

September 25, 2018 | 9:47 am

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘মানব পাচারের বিরুদ্ধে আন্তরিকভাবে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারপরও মানব পাচারের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। সহিংসতা এবং সংঘর্ষমূলক কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসী দলগুলোকে মানব পাচারের পরিবেশ সৃষ্টিতে সুযোগ করে দিচ্ছে।’

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর, নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায়) নিউ ইয়র্কে চলমান জাতিসংঘ অধিবেশনের সাইথ ইভেন্টে মানব পাচার প্রতিরোধ সংক্রান্ত এক বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম  এই মন্তব্য করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী জন জে সুলিভান এই বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠকে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এবং নারী বিষয়ক মন্ত্রী পেনি মরডায়ান্ট, কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ক বিষয়ক মন্ত্রী মারিয়া-ক্লাউড বাইবিও, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর জন ম্যাক কেইনের স্ত্রী এবং মানবাধিকার কর্মী কিন্ডি ম্যাক কেইন ছাড়াও আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, বাহরাইন ও নাইজেরিয়ার মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র হেদার নওরেত বৈঠকটি সম্পর্কে এক বার্তায় জানান, উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী জন জে সুলিভান বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউজিল্যান্ডের পক্ষে বিশ্বব্যাপি মানব পাচার প্রতিরোধ করতে ‘প্রিন্সিপালস টু গভর্নমেন্ট অ্যাকশন টু কমব্যাট হিউম্যান ট্রাফিকিং ইন গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন’ শীর্ষক একটি রোড ম্যাপের ঘোষণা দেন। যাতে মানব পাচার প্রতিরোধ এবং দাসত্ব প্রথা বিলুপ্ত করতে রাষ্ট্রগুলো সঠিক পন্থায় উদ্যোগ নিয়ে বাস্তবায়ন করতে পারে।

মানব পাচার প্রতিরোধ করতে ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরও ৭৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়।

‘প্রিন্সিপালস টু গভর্নমেন্ট অ্যাকশন টু কমব্যাট হিউম্যান ট্রাফিকিং ইন গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন’ শীর্ষক একটি রোড ম্যাপের ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী জন জে সুলিভান বলেন, মানব পাচার বন্ধ করতে হলে সবগুলো রাষ্ট্রকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে বসে সঠিক পন্থা বের করতে হবে। দাসত্ব প্রথা এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে।

বিজ্ঞাপন

উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী জন জে সুলিভান আরও বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধে আমাদেরকে ৪টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সরকারি কাজ-কর্মের অনুশীলনে মানব পাচার প্রতিরোধ কর্মকাণ্ডকে অর্ন্তভুক্ত করতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠাগুলোকে মানব পাচারের বিরুদ্ধে কাজ করার উৎসাহ যোগাতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রকে এমন নীতি প্রনয়ণ করতে হবে যেখানে কর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। মানব পাচার প্রতিরোধে রাষ্ট্রকে আন্তরিক হতে হবে।

সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন