বিজ্ঞাপন

আরপিও সংশোধন না হলে বর্তমান আইনেই নির্বাচন: ইসি সচিব

September 25, 2018 | 3:02 pm

 ।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।। 

বিজ্ঞাপন

ঢাকাঃ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাবটি পাস না হলে বর্তমান আইনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হেলালুদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে তার কক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, কমিশন থেকে আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তারা মিটিং করে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করবেন।

মন্ত্রিসভায় যদি এটি অনুমোদন হয়, তাহলেই সংসদে যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি কোন পর্যায়ে আছে তার তথ্য পাইনি। যদি এটি সংশোধন হয় তাহলে ভালো, আর না হলে তারও প্রস্তুতি রয়েছে, তখন আগের আরপিও দিয়েও সংসদ নির্বাচনের সকল কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞাপন

ইভিএম বিষয় এক প্রশ্নরে জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহার করবে কি করবে না সে বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। আরপিও সংশোধন হলে এ বিষয় কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এই সংসদে এটি না হলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারব।

ইসি সচিব বলেন, আগামী ডিসম্বের মাসের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর ৩০শে অক্টোবরের পরে যেকোন দিন তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। এ বিষয়ে ইসি সচিবালয় প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দিন বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল গত সংসদ নির্বাচন ও এরপর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি, তাদের নিবন্ধন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।হেলালুদ্দীন অাহমদ বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল পরপর দুই সংসদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে তাদের নিবন্ধনের কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি একটি অাসনেও নির্বাচন না করে তাহলে  অাইন অনুযায়ী তাদের নিবন্ধন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। তবে অারও অনেকগুলো ক্রাইটেরিয়া থেকে যায়। তবে কতগুলো দলের নিবন্ধন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সেটি পরিসংখ্যান করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলনে, আমরা সারাদেশের ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্রের তথ্য পেয়েছি। সেগুলো প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। যখন তফসিল ঘোষণা করা হবে তখন তালিকা রিটার্নিং কর্মকর্তারা কেন্দ্রগুলোর তালিকা আমাদের কাছে পাঠাবে। এরপর সেগুলো গেজেট আকারে ৩০০ আসনের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ থেকে ১০ আঞ্চলিক অফিসে ভোটার তালিকার সিডি পাঠানোর কাজ শুরু করব। প্রথমে সিলেট ও খুলনা অঞ্চলে পাঠাব। বাকিগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে পাঠানো হবে। নিয়মিত কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে দিক নির্দেশনা দিচ্ছি। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোটগ্রহন কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যারা কাজ করবেন তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ারও প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পরপরই এটি শুরু হবে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অঞ্চলভিত্তিক হবে। যারা তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন তাদের প্রশিক্ষণও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

সারাবাংলা/জিএস/জেডএফ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন