বিজ্ঞাপন

ডিজিটাল আইনে হতাশ টিআইবি, রাষ্ট্রপতির কাছে সংশোধনের আহ্বান

September 26, 2018 | 1:13 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে টিআইবি জানিয়েছে, আইনটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও বাক স্বাধীনতায় চরম বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আমরা খুবই হতাশ হয়েছি। এটা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা তথা মত প্রকাশে এবং বাক স্বাধীনতায় চরমভাবে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। যেকোনো সময় যে কাউকে অপরাধী বানিয়ে এই আইন কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে’। তাই, আইনটি সংসদে পুনরায় সংশোধনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যেহেতু সংসদে আইনটি অনুমোদন হয়েছে। এখন আমরা মহামান্য রাষ্টপতির কাছে আহ্বান জানাচ্ছি তিনি এ আইনটিতে স্বাক্ষর না করে সংসদে আবার ফেরত পাঠাবেন। যাতে আইনটি পুনরায় বিবেচিত হতে পারে। যেন অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে এটিকে সংশোধন করা হয়। যাতে আইনটির মধ্যে কোনো বৈপরিত্য না থাকে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ আইনটির কারণে শুধু তথ্য জানার অধিকার নয়, তথ্য সুরক্ষা যে আইন রয়েছে সেটিও বাধাগ্রস্ত হবে। কাজেই এ আইনটি আমরা কোনোভাবেই কার্যকর দেখতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আমরা বিরোধীতা করছিনা। এ আইনের অবশ্যই প্রয়োজন আছে। যে আইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কিন্তু ডিজিটাল নিরপত্তা আইন কালো আইন হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তাই বিশেষ করে সরকারের নির্বাচনের যে অঙ্গিকার তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকার এ কালো আইনটি পুনরায় বিবেচনা করে সংশোধন করবে, এ আশা করছি আমরা।

বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, টিআইবির আউট রিচ এন্ড কমিনিকেসন্স পরিচালক শেখ মঞ্জুর-এ-আলম এবং প্রশাসনিক পরিচালক আব্দুল আহাদসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও টিআইবির কর্মকর্তারা।

সারাবাংলা/এসএইচ/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন