বিজ্ঞাপন

‘ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধে প্রয়োজন প্রকল্প পর্যালোচনা’

September 26, 2018 | 5:05 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম বন্ধের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে হলে গৃহীত প্রকল্পগুলোর পর্যালোচনা জরুরি। এর সঙ্গে সবগুলো সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ডেইলি স্টার সেন্টারে এডুকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এডুকো) আয়োজিত ‘অধিকার’ প্রজেক্টের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

দিনব্যাপি এই সেমিনারে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম এবং ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম বন্ধের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলার কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন খান শিশু সুরক্ষায় চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনের সময় নির্ধারণ করা হলেও প্রাথমিক পর্যায়ে এই লক্ষ্য অর্জন করা যায়নি। এর কারণ শিশুদের কাজে আসা বন্ধ হয়নি। শিশুশ্রম বন্ধে শুধু শিশুদের কাজে আসার পরে রক্ষা করলে হবে না, তাদের কাজে আসাও বন্ধ করতে হবে।’

শিশুশ্রম বন্ধের চ্যালেঞ্জ হিসেবে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পদ্ধতির দুর্বলতা, পরিবেশ বিপর্যয়, কল-কারখানার মালিকদের আইনের আওতায় না আনা, শিশু শ্রমের প্রতি মানুষের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না হওয়াকে দায়ী করেন। এছাড়াও গৃহীত প্রকল্প সমূহের বাস্তবতা নিরূপনের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

শিশুশ্রম বন্ধে করণীয় বিষয়ে অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু বলেন, ‘শিশুদের শ্রম বন্ধে নেওয়া পদক্ষেপগুলো যাচাইয়ের কোনো আদর্শ মাত্রা রাখা হয় না। ফলে বিক্ষিপ্তভাবে নেওয়া পদক্ষেপগুলো কতটা শিশুদের কাজে আসে তা জানা যায় না।’

বিজ্ঞাপন

অধিকার প্রজেক্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এডুকোর কান্ট্রি ডিরেক্টর জনি এম সরকার, ওয়ার্ল্ড ভিশনের পরিচালক চন্দন গোমেজ, একাত্তর টেলিভিশনের বার্তা প্রাধান শাকিল আহমেদ, বাংলাদেশ সরকারের কেবিনেট ডিভিশনের ডেপুটি সেক্রেটরি আশফাকুল আমিন মুকুটসহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য, অপশনস ফর ডিগনিটি অব হিউমেন বিয়িং বাই ইনফ্লুয়েন্সিং কি অ্যাকটর টু রিফর্ম সংক্ষেপে অধিকার এডুকো’র একটি দুই বছর মেয়াদী প্রকল্প। যার অর্থায়ন করছে চাইল্ড ফান্ড কোরিয়া এবং বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে ইকোসোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩০০ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হবে যারা বর্তমানে গৃহকর্ম ও যানবাহনে কর্মরত আছে।

সারাবাংলা/এমএ/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন