বিজ্ঞাপন

শপথ নিলেন ৩ মন্ত্রী, এক প্রতিমন্ত্রী

January 2, 2018 | 6:39 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া নতুন তিন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ নিয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাদের শপথ বাক্য পড়ান রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ। প্রথমে তিন মন্ত্রীর শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি। পরে শপথ বাক্য পাঠ করেন প্রতিমন্ত্রী। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং নতুন মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে ছিলেন।

মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া তিনজন হলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, লহ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল ও প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার। সেইসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী।

শপথ বাক্য পাঠের মধ্য দিয়ে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হলেন। ছায়েদুল হকের মৃত্যু হওয়ায় ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর আসনটি এতদিন শূন্য ছিল। গত ১৬ ডিসেম্বর ছায়েদুল হক মারা যান।

বিজ্ঞাপন

বাঁ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, লক্ষ্মীপুরের সাংসদ এ কে এম শাহজাহান কামাল ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জব্বার পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে এবং রাজবাড়ীর সাংসদ কাজী কেরামত আলী প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম তাদের ফোন করে শপথ নিতে বঙ্গভবনে যাওয়ার আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রিসভার নতুন এই সদস্যদের বঙ্গভবনে নিয়ে যেতে মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ের পরিবহন পুল থেকে চারটি গাড়ি পাঠানো হয় । ওই গাড়িতে চড়ে নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা বিকেল ৫টার দিকে বঙ্গভবনে পৌঁছান।

এর কিছুক্ষণ পর নির্ধারিত অন্য কর্মসূচি সেরে বঙ্গভবনে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। শপথ পড়ানোর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রবেশ করেন রাষ্ট্রপতি।

শপথ নেওয়ার পর তিন মন্ত্রী টেবিলে বসে শপথবাক্যে স্বাক্ষর করেন। পরে প্রতিমন্ত্রীও শপথবাক্যে স্বাক্ষর করেন। শপথ পাঠ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মোহাম্মদ শফিউল আলম।

বিজ্ঞাপন

যার যে দফতর : মোস্তাফা জব্বার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, এ কে এম শাহজাহান কামাল সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, কাজী কেরামত আলী শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে জানা গেছে। তবে প্রজ্ঞাপন জারি হলে নতুন মন্ত্রীদের দফতর বণ্টনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সূত্র আরও জানিয়েছে, আজ রাতে নতুন মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।

তিনবার রদবদল মন্ত্রিসভায় :  ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি গঠিত বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় এপর্ যন্ত তিনবার রদবদল হয়েছে। সরকার গঠনের দেড় মাস পর ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম রদবদল হয়েছিল।

ওইদিন আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নজরুল ইসলামকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।

এর প্রায় দেড় বছর পর ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই মন্ত্রিসভায় যোগ হন নতুন পাঁচজন। ওইদিন আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান প্রতিমন্ত্রী থেকে পদোন্নতি পেয়ে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। একইদিন মন্ত্রী হিসেবে আরও শপথ নেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। সেদিন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তারানা হালিম, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নুরুজ্জামান আহমেদ।

মন্ত্রিসভায় সর্বশেষ রদবদল হয় ২০১৫ সালের ৯ জুলাই। ওই রদবদলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দফতরবিহীনমন্ত্রী করা হয়। একইদিন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বদলে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। একসপ্তাহ পর সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/জেআইএল/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন