বিজ্ঞাপন

ঝুঁকি নিরসনে পার্লামেন্টারি পার্টনারশিপ মিটিং মাইলফলক

September 28, 2018 | 11:08 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ঝুঁকি নিরসনে (আসেপ) সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

এশিয়া ও ইউরোপের পার্লামেন্ট সদস্যরা সংসদীয় কূটনীতি চর্চার মাধ্যমে জলাবায়ু পরিার্তনের ঝুঁকি নিরসনে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পেয়েছে এ সম্মেলনের মাধ্যমে।

জনগণের ইতিবাচক পরিবর্তন ও জীবন রক্ষার জন্য সকল সংসদ সদস্যগণকে অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাসে সোচ্চার হতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি শুক্রবার ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে দশম এশিয়া-ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টারি পার্টনারশিপ মিটিং (আসেপ-১০) এর সমাপনী অনুষ্ঠানে কো-চেয়ার হিসেবে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।

এর আগে তিনি ‘এশিয়া অ্যান্ড ইউরোপ ফেসিং ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ অ্যান্ড ইনক্রিজিং এনভায়রনমেন্টাল চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক সেশনে কিনোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

স্পিকার বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিকে উন্নত ও স্থিতিশীল রাখার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবগুলোকে বিবেচনায় রেখে নীতি ও কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্য-শস্য, প্রাণী ও মৎস সম্পদ খাতগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া বন্যা, সাইক্লোন ও অতিরিক্ত লবনাক্ততা ভূমিকে অনুর্বর করছে—যা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধা সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সমীক্ষা ২০০৯ অনুযায়ী ১৯৮৮ সালের বন্যায় সমগ্র দেশের প্রায় ৬০ ভাগ ভূমি প্লাবিত হয়–যেখানে ১.২ বিলিয়ন সমপরিমাণ ক্ষতি সাধিত হয় এবং ৪৫ মিলিয়ন মানুষ গৃহহীন হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘জলবায়ু ঝুঁকি সূচক ২০১৮ অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। ১৯৯৭-২০১৬ এই বিশ বছরে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে জিডিপিতেও  বিরূপ  প্রভাব পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিকার হিসেবে এরইমধ্যে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বিবেচনা করে ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘জিডিপি এর প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে দারিদ্র বিমোচনের বিকল্প নেই—আর এক্ষেত্রে  যেহেতু জলবায়ুর পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ সম্পর্কযুক্ত সেহেতু বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ৮.৮ জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং নিজস্ব অর্থায়নে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন।’

বিজ্ঞাপন

‘এশিয়া অ্যান্ড ইউরোপ ফেসিং ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ অ্যান্ড ইনক্রিজিং এনভায়রনমেন্টাল চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক সেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী এমপি বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে আরও অংশ নেন ইমরান আহমদ এমপি।

সমাপনী অনুষ্ঠানে এশিয়ান পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলির চেয়ারম্যান মি. টরনারিটিস নিকোস, রাশিয়ান ফেডারেশেনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স এর ডেপুটি চেয়ারম্যান মি. আন্দ্রেক্লিমভ, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট মিজ হেইদি হাওতালা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/ এএইচএইচ/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন