বিজ্ঞাপন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারের প্রণোদনা থাকা উচিত: গণপূর্তমন্ত্রী

October 1, 2018 | 9:18 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারের প্রণোদনা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

সোমবার (১ অক্টোবর) বিশ্ব বসতি দিবস-২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ বছর বিশ্ব বসতি দিবসের প্রতিপাদ্য— ‘পৌর এলাকার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’। দিনব্যাপী এ বিষয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।

সেমিনারে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আমাদের শৈশবে দেখেছি, আমাদের বাসার পাশে একজন লোক ওই এলাকার আবর্জনা থেকে বোতল, কাঁচ বা অন্যান্য দ্রব্য সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এখনও অনেকে এভাবে বর্জ্য কুড়ান। নিশ্চয়ই তারা এসব কোথাও বিক্রি করে করে টাকা উপার্জন করেন। তাই বর্জ্যও সম্পদ। কিন্তু আমরা সেটাকে ব্যবহার করতে না পারার কারণে আমাদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মূল দায়িত্ব পালন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে এ বিষয়টি আবাসনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগ অন্যান্য সংস্থার জন্যও মডেল হবে বলে আশাবাদ জানান তিনি।

সেমিনারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো এতদিন ধরে চিন্তা, গবেষাণা ও পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু কার্যকর কোন উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয়নি। এজন্য এখন আমরা বলব— দৃশ্যমান কাজ করতে হবে, যেসব প্রকল্পের মাধ্যমে বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে পারব।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা। এ জন্য এ সমস্যা সমাধান করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে। জাতীয় পর্যায়ের উদ্যোগের মাধ্যমে সমন্বিতভাবে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বক্তারা পৌর এলাকার বর্জ্যকে আবসনের অন্যতম বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. তারিক বিন ইউসুফ, প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিনা জাহান, ব্র্যাক ইন্টারভেনশনের আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের প্রধান হাসিনা মোশরফা এবং নগর উন্নয়ন অধিদফতরের সিনিয়র প্ল্যানার শাহীন আহম্মেদ।

বক্তারা জানান, আমাদের বর্জ্যের পৃথকীকরণ জরুরি। বর্জ্য পৃথকীকরণ করা হয় না বলে মোট বর্জ্যের মাত্র তিন শতাংশ অপচনশীল পণ্য মিলে গিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কঠিন করে ফেলে এবং জলাবদ্ধতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা এ সমস্যা সমাধানে শুধু সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার ওপর দায়িত্ব না দিয়ে এটাকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন। বক্তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে একটি নির্দিষ্ট নিয়মে এনে বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়াও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যাক্তিদের সঠিক প্রশিক্ষণ এবং এ থেকে তৈরি হওয়া ব্যবসায়িক সম্ভবনাকে সমন্বয় করার বিষয়ও তুলে ধরেন।

এর আগে, সকালে র‌্যালি ও আলোচনা সভার মাধ্যমে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ উদযাপন শুরু হয়। ভোরে শহীদ মিনার থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত র‌্যালির নেতৃত্ব দেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। সকাল ৯টায় রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে সরকারি উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা এবং বিকেলে গণপূর্ত অধিদফতরে অনুষ্ঠিত হয় সেমিনার।

সারাবাংলা/এমএ/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন