বিজ্ঞাপন

৫ দফার আলোকে কোটা সংস্কার ও বন্দিদের মুক্তির দাবি

October 2, 2018 | 9:02 pm

।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাবি: আগামীকাল মন্ত্রিপরিষদের সভায় কোটা বাতিলের সুপারিশের সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে ৫ দফার আলোকে কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।

মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধনে তারা এই দাবি জানান। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও কোটা ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন থেকে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরের সঞ্চালনায় সংহতি বক্তব্য দেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দিন প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে তিনটি দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো- সব আটকৃতের মুক্তি দেওয়া, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলকারীদের শাস্তি দেওয়া ও পাঁচ দফার আলোকে কোটা সংস্কার করা।

মানববন্ধনে সংহতি বক্তব্যে অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী বলেন, ‘কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেনি। তারা কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছে। কিন্তু এখন কোটা বাতিল করে শিক্ষার্থীদের ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেসব শিক্ষক নিপীড়িত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ধরনের দৃশ্য আমরা স্বৈরাচারী সরকারের আমলেও দেখিনি। কিন্তু যে সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সেই সরকারের আমলে আমরা তা দেখতে পাচ্ছি।’

সামিনা লুৎফা বলেন, ‘নিপীড়িত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর কারণে শিক্ষকদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম নিপীড়িত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এই কারণে তিনি এখন জেলে বন্দি। আমরা তার অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।’ এসময় তিনি আলোকচিত্রী শহীদুল আলমসহ আন্দোলনে গ্রেফতারকৃত সব শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ সভায় আমাদের পাঁচ দফা দাবির আলোকেই কোটা সংস্কার করতে হবে। আমরা শুধু প্রথম শ্রেণি এবং দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য আন্দোলন করিনি। আমরা সব বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি।’

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান, আতাউল্লাহ খান, বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ।

সারাবাংলা/কেকে/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন