বিজ্ঞাপন

‘ইউএস বাংলার উড়োজাহাজের অবতরণ ইনসিডেন্ট, অ্যাকসিডেন্ট নয়’

October 3, 2018 | 4:12 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণ একটি ইনসিডেন্ট, এটা অ্যাকসিডেন্ট নয়। ইনসিডেন্টকে অ্যাকসিডেন্ট হিসেবে দেখতে গেলে ভুল করবো আমরা, বলেছেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ।

বুধবার (৩ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিএস-১৪১ ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ প্রসঙ্গে ইউএস-বাংলা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে ইমরান আসিফ বলেন, ‘এ ঘটনায় কেবল ইউএস-বাংলা নয়, উড়োজাহাজটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং-ও এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়েও তারা উদ্যোগ নেবে। একইসঙ্গে এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটি প্রকৌশলীরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করছে। নোজ গিয়ারটি সেদিন কেনও বের হচ্ছিল না তা তদন্তাধীন।’

বিজ্ঞাপন

ইমরান আসিফ জানান, গত ২৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটের জরুরি অবতরণের প্রয়োজন হয়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিএস-১৪১ ফ্লাইটটি সকারল সাড়ে ১১টায় মোট ১৬৪ জন যাত্রী ও সাত জন ক্রুসহ মোট ১৭১ জন আরোহী নিয়ে কক্সাবাজার বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু ল্যান্ডিং করার আগ মুহূর্তে যখন নোজ ল্যান্ডিং গিয়ার নামছিল না তখন পাইলট ইন কমান্ড জাকারিয়া সবুজ ও ফার্স্ট অফিসার সাঈদ বিন রউফ নিরাপদ ল্যান্ডিং করার জন্য জরুরি অবতরণের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেন। কিন্তু কক্সবাজার বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় তারা চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন এবং অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ক্যাপ্টেন জাকারিয়ার নেতৃত্বে দক্ষতার সঙ্গে বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ ঘটনায় এয়ারক্রাফটিরও কোনও উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়নি।

ইমরান আসিফ বলেন, ‘নিরাপদ অবতরণে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কর্তপক্ষ, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ কৃতজ্ঞ।’

ইউএস-বাংলা একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে ইমরান আসিফ বলেন, ‘গত ১২ মার্চে নেপালের কাঠামান্ডু দুর্ঘটনার আগে বা পরে আমরা কখনোই আমাদের দায়িত্বশীলতা সর্ম্পকে উদাসীন ছিলাম না। প্রতিনিয়ত ফ্লাইট সেফটি নিয়ে আরও বেশি সচেতনতামূলক কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। আমাদের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বে ঘটে যাওয়া নোজ গিয়ার ল্যান্ডিং না হবার কারণে পাঁচটি দুর্ঘটনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেখানো হয়। যেখানে চারটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল মেকানিক্যাল কারণে আর একটি ঘটেছিল পাইলটের ভুলের কারণে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সেদিনের ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন জাকারিয়া সবুজ, ফার্স্ট অফিসার সাঈদ বিন রউফ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলমসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/জেএ/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন