বিজ্ঞাপন

৩ মাস ধরে মেসিডোনিয়ার মর্গে পড়ে আছে সুনামগঞ্জের তরুণের লাশ

October 3, 2018 | 6:43 pm

।। এম এ কে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সুনামগঞ্জের তরুণ সাকির আহমদের মরদেহ দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ মেসিডোনিয়ার একটি মর্গে পড়ে আছে গত ২৫ জুন থেকে। ওই তরুণের কোনো অভিবাবকের খোঁজ না পাওয়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তি হিসেবে মেসিডোনিয়ার রাজধানী স্কোপিয়ের বাটেল পৌরসভার মর্গে রাখা আছে মরদেহটি।

মেসিডোনিয়ার বেসরকারি উন্নয়নধর্মী প্রতিষ্ঠান লেগিস সারাবাংলাকে জানায়, গত ২৫ জুন স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৪ টার সময় মেসিডোনিয়ার রাডোভিস-স্টিপ সড়কে ১৯ জন অভিবাসীকে বহন করা একটি গাড়ির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি, অন্যজন শ্রীলঙ্কান। এ ছাড়া ওই ঘটনায় আরও ১৭ জন আহত হয়।

বিজ্ঞাপন

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত বাংলাদেশি হচ্ছেন সুনামগঞ্জের নুরুল ইসলাম এবং মোছা. সুজনা আক্তার চৌধুরীর ছেলে সাকির আহমদ, তার জাতীয় পরিচয়-পত্র নম্বর ১৯৮৯৯০১৪৭৮৫০০০০৫২ এবং পাসপোর্ট নম্বর এসি ৯১১৬২২৭।

লেগিস সারাবাংলাকে জানায়, অনেক খোঁজ করেও নিহত সাকির আহমদের কোনো অভিববাক বা আত্মীয়-স্বজনকে মেসিডোনিয়াতে পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর প্রতিষ্ঠানটি জানতে পেরেছে, নিহত সাকির আহমদের একাধিক আত্মীয়-স্বজন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন কিন্তু তারা মেসিডোনিয়ায় এসে মরদেহ নেওয়ার মতো সক্ষম অবস্থানে নেই।

সার্বিক অবস্থা জানার পর লেগিস নিহত সাকির আহমদের মরদেহ মেসিডোনিয়ার স্থানীয় কবরস্থানে সৎকার করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু আইন অনুযায়ী, মেসিডনিয়ার সরকার যথাযথ অভিভাবক ছাড়া কারও মরদেহ অন্য কোনো পক্ষকে দিতে নারাজ। ফলে নিহত সাকির আহমদের মরদেহ এখনো মর্গেই আছে, বলে জানিয়েছে লেগিস।

বিজ্ঞাপন

মেসিডনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তায় সারাবাংলাকে জানায়, নিহত সাকির আহমদের যথাযথ অভিবাবক পেলেই মরদেহটি হস্তান্তর করা হবে।

বিষয়টি সারাবাংলার পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদক বুধবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানান। ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে নিহত সাকির আহমদের অভিভাবক খুঁজে পেতে পাসপোর্ট অধিপদপ্তরসহ একাধিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক নাহিদা রহমান সুমনা সারাবাংলাকে বলেন, ‘মেসিডোনিয়াতে আমাদের কোনো মিশন নেই। ঘটনাটি আমি আজই জানলাম। আশা করছি খুব দ্রুত নিহত সাকির আহমদের মরদেহ দেশে এনে তার অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবো।’

বিজ্ঞাপন

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, যে ১৯ জনের অভিবাসী দলটি নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে তাদের কারোরই মেসিডোনিয়াতে থাকার অনুমতি নেই। ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানবপাচার করতে মেসিডোনিয়ার সড়ক পথ ব্যবহার করা হয়। মেসিডোনিয়ার সরকার এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন