বিজ্ঞাপন

আন্দোলনকারীদের দখলে শাহবাগ মোড়, যানজটে ভোগান্তি

October 4, 2018 | 1:04 pm

।।স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীর শাহবাগে ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবিতে শাহবাগ মোড় দখল করে অবরোধ করছেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা। এতে শাহবাগসহ আশেপাশে এলাকায় যানচলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে যানজটের কবলে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হয়ে নাকাল হচ্ছেন পথচারী ও যাত্রী এবং যানবাহন চালকরা।

বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে সাতটা থেকে শাহবাগ মোড়ে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেয়ায় সেস্থান দিয়ে চলাচল করা যানবাহন অন্যদিক দিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক দিনের চেয়ে অস্বাভাবিক যানজট সৃষ্টি হয়েছে ওইসব এলাকায়।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা যায়, মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগগামী সকল যানবাহন কাকরাইল মোড় হয়ে মিন্টুরোডের পাশ দিয়ে হোটেল রুপসী বাংলার দিকে যেতে হচ্ছে। একই অবস্থা বিপরীত দিক থেকে আসা অর্থাৎ সাইন্সল্যাব থেকে শাহবাগগামী সকল যানবাহনকে যেতে হচ্ছে বাংলামোটর ও হোটেল রুপসী বাংলা হয়ে। এতে ওইসব সড়কে যানবাহনের চাপে যানজট তীব্রতর হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজটের প্রভাব সড়ক ছাড়িয়ে অলিগলিতে গিয়ে পড়ছে। সেই সঙ্গে শাহবাগ মোড়ের যানজটের প্রভাবে রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, নিউ মার্কেট ধানমন্ডি, কাওরানবাজার বাংলামোটর ও কলাবাগান এলাকার সড়ক ও অলিগলিতে সৃষ্টি হয়েছে অসহনীয় যানজট।

এতে এসব সড়কের গণ-পরিবহনের অধিকাংশ যাত্রীকে দেখা গেছে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে। কেউ কেউ গাড়িতে বসে থাকলে কখন যে গাড়ি ছাড়বে তার অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

ট্রান্স সিলভা পরিবহনের যাত্রী মাহিন সারাবাংলাকে বলেন, সাড়ে ৯টায় মোহাম্মদপুর থেকে যাত্রাবাড়িতে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠলাম। বাটা সিগন্যাল আসতে আসতে ১২ টা বাজলো। গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে পল্টন পর্যন্ত যাবো। গুলিস্তান থেকে ধানমণ্ডিগামী এক যাত্রী রাশেদ মিজান। তিনিও গুলিস্তান থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত এসেছেন দেড় ঘন্টা ধরে। তিনি বলেন, দেড় ঘন্টায় দুই কিলোমিটার পথ আসতে লাগলো। তাই পায়ে হেঁটে এখন বাসায় যাবো। পাঠাওকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলাম। জ্যামের কারণে আসছেনা।

শাহবাগ মোড়ের ট্রাফিক সার্জেন্ট রোকনুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, আজ আন্দোলনের কারণে আমরা বসে আছি। এখানে গাড়িও নাই, কাজের চাপও নায়। তবে চারদিকে জ্যামেও কিছু করার নাই। তবে আন্দোলনকারীদেরকে সরিয়ে দেয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে কিনা এ প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করেন নি তিনি।

সারাবাংলা/এসএইচ/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন