বিজ্ঞাপন

ঢাকা উত্তরে আ.লীগের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব

January 3, 2018 | 3:54 pm

সারাবাংলা করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা :  ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে নগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ডের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। ফলে নতুন কমিটি গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাদের খানের নেতৃত্বে প্রায় ১১ জন নেতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। গণভবন থেকে বের হয়ে নেতারা দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী এই প্রেস লিস্ট কমিটি বাতিল করেছে। তবে ভিন্ন কথা বলছেন উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।

তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘কমিটি স্থগিত, বাতিলের একটা বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। যারা এই ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

গত বুধবার উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাদেক খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রচার করা হয়। এতে বলা হয়, ‘২৬টি থানা, ৪৬টি ওয়ার্ড ও ৯টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

কমিটি ঘোষণার পর সাদেক খান সারাবাংলা‌কে বলেন, ‘দলীয় সভানেত্রীর অনুমোদন নিয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করেছি। আশা করছি, নতুন কমিটির নেতৃত্বে দল আরও সুসংগঠিত, সুদৃঢ় ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।’

উত্তরের সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের অনুমোদিত কমিটি সম্পর্কে অভিযোগ করে মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হানিফ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ত্যাগী ও প্রকৃত রাজনৈতিকদের বাদ দিয়ে পকেটের লোক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে দল রাজনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের এসব অভিযোগ শুনে কমিটি বাতিল করেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে দায়িত্ব দেন। তাদেরকে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

এ বিষয়ে উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের খান বলেন, ‘নেতাকর্মীদের ক্ষোভের কথা জানানোর জন্য আমরা ১৬ জন আমাদের পার্টির অভিভাবক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি এবং বিষয়গুলো উনাকে অবহিত করেছি। নেত্রীর পূর্ণাঙ্গ এই কমিটি স্থগিত করেছেন এবং নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে ফারুক খান ও নওফেলের সঙ্গে আমাদেরকে আলোচনা করতে বলেছেন।’

বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ঢাকার মিরপুরের সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লাও এক সুরে সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা গিয়েছিলাম নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে, তিনি আমাদের যা বলেছে তা সাংবাদিকদের বলেছি।’

উত্তরের কমিটির বর্তমান অবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত (উত্তরের কমিটি গঠনের) আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

বিজ্ঞাপন

তবে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘আমার সঙ্গে ক্ষুব্ধ নেতারা যোগাযোগ করেছেন। তারা আমাকে জানিয়েছেন নেত্রী এই কমিটি স্থগিত করেছেন। আমি ফারুক খান ও দীপু মনি আপার সঙ্গে বসে যাচাই-বাচাই করে কমিটিগুলো ঠিক করব।’

মহানগর উত্তরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর প্রায় দুমাস আগেও একবার কমিটি দিয়েছিলেন। বিভিন্ন অভিযোগের কারণে সেই কমিটিও স্থগিত করেন প্রধানমন্ত্রী।

উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের খান সারাবাংলা‌কে জানান, মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা ১৬জন সাক্ষাৎ করেছি।এর মধ্যে বনানী থানার সভাপতি এ কে এম জসিমউদ্দীন, মিরপুর থানার সভাপতি এস এম হানিফ, দারুস সালাম থানার সভাপতি মাজহারুল আনাম, শাহ আলী থানার সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মোল্লা, ৩২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকার মিরপুরের সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা ছিলেন।

সারাবাংলা/এমএমএইচ/একে

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন