বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ: সিটিবিটিও

October 4, 2018 | 6:16 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি কেন না দক্ষিণ এশিয়া এবং পৃথিবীর শান্তি নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে দেশটি। গত বছর পরমাণু অস্ত্র নিরোধ চুক্তিতে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে, দেশটি শান্তিতে বিশ্বাসী।’

সর্বাত্মক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা কম্প্রিহেনসিভ নিউক্লিয়ার-টেস্ট-ব্যান ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিটিবিটিও)’র নির্বাহী সচিব ল্যাসিনা জারবো বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের আমন্ত্রণে সিটিবিটিও-র নির্বাহী সচিব ল্যাসিনা জারবো গত ৩ অক্টোবর (বুধবার) ৩ দিনের সফরে ঢাকা আসেন। এটাই ল্যাসিনা জারবোর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এটাই আমার প্রথম বাংলাদেশ সফর। বাংলাদেশে এসে আমি গ্রামগুলোতে দেখলাম যে, তরুণ জনগোষ্ঠী লেখাপড়া করছে আবার একই সঙ্গে প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করছে। এই দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লেগেছে। কেন না তরুণরাই আগামীর ভবিষ্যত। আর বাংলাদেশের তরুণরা ডিজিটাল বিষয় নিয়ে লেখাপড়া ও কাজ করছে। প্রকৃত অর্থেই বাংলাদেশ একটি অসম্ভব সম্ভাবনার দেশ এবং মানুষগুলো খুবই শান্তিপ্রিয়।’

সিটিবিটিও সম্পর্কে বলতে গিয়ে সংস্থাটির নির্বাহী সচিব ল্যাসিনা জারবো বলেন, ‘বৈশ্বিক শান্তি এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিতে পরমাণু অস্ত্র নিরোধ চুক্তিতে প্রতিটি দেশের স্বাক্ষর করা জরুরি। কেন না আমাদের বিশ্বকে আমাদেরই গড়তে হবে। ধ্বংসাত্মক কাজ পরিহার করতে হবে। উন্নয়ন নিশ্চিতে ইতিবাচক কাজ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সর্বাত্মক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা (কম্প্রিহেসসিভ নিউক্লিয়ার-টেস্ট-ব্যান ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা সিটিবিটিও) নিয়ে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। অথচ সিটিবিটিও একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। যে সংস্থা বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় বৈশ্বিক উন্নয়নমূলক যে সকল কর্মকাণ্ডে পরমাণু শক্তির ব্যবহার করা হয় তা যথাযথ নিয়ম মেনে করা হচ্ছে কি না এবং মানব কল্যাণের জন্য তা কতটুকু ঝুকিপূর্ণ এসব বিষয় বৈজ্ঞানিকভাবে তদারকি করে থাকে সংস্থাটি।’

বিজ্ঞাপন

সিটিবিটিও-র নির্বাহী সচিব ল্যাসিনা জারবো জানান, ভারত এবং পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র নিরোধ চুক্তিতে এখনো স্বাক্ষর করেনি। এশিয়ার এই দুটি দেশের অবস্থান এখনো উত্তর কোরিয়ার মতো।

ল্যাসিনা জারবো বলেন, ‘আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, এশিয়াসহ আমি যেখানেই যাই না কেন সকলেই একটি প্রশ্ন করে, পৃথিবীতে ৫টি দেশকে কীভাবে পরমাণু শক্তির অধিকারি হতে দেওয়া হল এবং বাকি দেশগুলোকে পরমাণু শক্তির অধিকারি হতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? এক্ষেত্রে বাস্তবতা হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপট। যখন পৃথিবীর সর্বত্রই অসন্তোষ চলছিল এবং সকলেই পরমাণু শক্তির অধিকারি হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল। তখন বোধদয় হল যে এভাবে গোলা-বারুদ নিয়ে ক্ষমতাশালী হওয়ার চেষ্টা চালালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। পৃথিবীতে শান্তি প্রয়োজন। এভাবে ৫টি দেশ নিজেদের মধ্যে সমাঝোতায় আসল এবং প্রতিজ্ঞা করল যে তারা নিজেরাও পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না এবং অন্য কোনো রাষ্ট্রও যাতে এই ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা।’

সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন