বিজ্ঞাপন

কাজী ফারুকের ‘ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন’ এর নিবন্ধন বাতিল

October 4, 2018 | 9:59 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রশিকার চেয়ারম্যান কাজী ফারুকের রাজনৈতিক দল ‘ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন’ এর নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়।

সেখানে বলা হয়, নিবন্ধন আইনের শর্ত পূরণ করতে না পারায় দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। ২০০৮ সালের ১৬ নভেম্বর ‘ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন’ ইসি থেকে নিবন্ধন নিয়েছিলো। দলটির নিবন্ধন নম্বর ছিল-২৯।

বৃহস্পতিবার রাতে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। তিনি বলেন, ‘নিবন্ধন শর্ত পরিপালন না করায় ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে দলটি দলীয় প্রতীকে আর নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই।’

বিজ্ঞাপন

ইসি সচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেওয়া এবং বাতিল করার এখতিয়ার একমাত্র কমিশনের। দলটির নিবন্ধন চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হয়েছে। ফলে নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার আপাতত আর কোনো সুযোগ নেই।’

ইসি সূত্র জানায়, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করা হয়। সংশোধনী আরপিওতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ইসিতে নিবন্ধন করার বিধান যুক্ত করা হয়। যেখানে বলা হয়, ইসিতে কোনো দল নিবন্ধিত না হলে ওই দল দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে পারবে না। একইসঙ্গে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়।

ইসির শর্তের মধ্যে রয়েছে, ‘নিবন্ধন পেতে একটি দলকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যেকোনো নির্বাচনে অন্তত একটি সংসদীয় আসন পেতে হবে, অথবা যেকোনো একটি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে ওই আসনে প্রদত্ত মোট ভোটের ৫ শতাংশ পেতে হবে। এ ছাড়াও আরপিওতে বলা হয়েছে, দলের একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকতে হবে, দেশের অন্তত এক তৃতীয়াংশ (২১টি) প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর জেলা কমিটি এবং কমপক্ষে ১০০ উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানায় ন্যূনতম ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রামাণিক দলিল থাকতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

ইসির ওইসব শর্ত পূরণ করায় ২০০৮ সালে ৪২টি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। তারমধ্যে ইসির নিবন্ধন শর্ত ভঙ্গ করায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল করা হয়। আর ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন হাইকোর্ট স্থগিত করে। সর্বশেষ আজ (বৃহস্পতিবার) ঐক্যবন্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল করা হলো। এর ফলে বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা কমে দাঁড়ালো ৩৯টি।

ইসির বর্তমানে নিবন্ধিত ৩৯টি দল হলো- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জাতীয় পাার্ট (বিজেপি), জাতীয় গণতান্ত্রিক দল (জাগপা), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পাটি (বাংলাদেশ ন্যাপ), খেলাফত মজলিশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল-এমএল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি-জেপি ও জাতীয় পার্টি। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল), বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, ঐক্যবন্ধ নাগরিক আন্দোলন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি), গণফ্রন্ট, গণফোরাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), জাকের পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, কৃষিক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ফ্রন্ট।

সারাবাংলা/জিএস/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন