বিজ্ঞাপন

বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় সিইসি’র অসন্তোষ

October 9, 2018 | 10:30 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নির্ধারিত সময়ে ইসি সচিবালয় থেকে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে না পারায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। গত ৪ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সিইসি ও ইসি সচিবের অসন্তোষের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। চিঠিতে ৭ অক্টোবর বিকেল ৪টার মধ্যে ইসির জনসংযোগ শাখায় গত বছরের (জুলাই-১৭ থেকে জুন-১৮) শাখাভিত্তিক সম্পাদিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহের জন্য অনুরোধ করা হয়।

মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) ইসি সূত্র সারাবাংলাকে এসব তথ্য জানায়। প্রশ্ন করা হলে এই প্রসঙ্গে ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক বলেন, নির্ধারিত সময়ে আমরা ইসির সব শাখা থেকে তথ্য না পাওয়ায় কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করতে পারেনি। তবে এটি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশ করতে কাজ করা হচ্ছে।

ইসি সূত্র জানায়, প্রতি বছর নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে কমিশনের এক বছরের গুরুত্বপূর্ণ কাজের বিবরণ তুলে ধরা হয়। জুলাই থেকে পরবর্তী জুন মাস পর্যন্ত কমিশনের শাখাভিত্তিক কাজের অগ্রগতি প্রতিবেদনে থাকে। সর্বশেষ জুলাই-২০১৭ থেকে জুন-২০১৮ এই সময়ে ইসির কাজের অগ্রগতি নিয়ে একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা থাকলেও তা এখন পর্যন্ত প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সিইসি ও ইসি সচিব।

বিজ্ঞাপন

ইসি সূত্র আরও জানায়, প্রতি বছর জুলাই/আগস্ট মাসে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলেও এবার অক্টোবরের ৯ তারিখ পর্যন্ত বার্ষিক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। কবে নাগাদ প্রকাশ করা সম্ভব হবে তাও অনিশ্চিত। এদিকে গত ৪ অক্টোবর সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে ইসির বিভিন্ন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ৭ অক্টোবরের মধ্যে তথ্য সরবরাহের জন্য বলা হয়েছিল। মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) খবর নিয়ে জানা গেছে, মাত্র ১০টি শাখা থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরররাহ করা হয়েছে। বাকি শাখাগুলো ৯ অক্টোবর পর্যন্ত চাহিদা মোতাবেক তথ্য সরররাহ করতে পারেনি। ফলে বার্ষিক প্রতিবেদনটি চলতি মাসেও প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ইসির একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, বর্তমান কমিশনের আমলে সমন্বয়ের ঘাটতি থাকায় কমিশনে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

সারাবাংলা/জিএস/এটি

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন