বিজ্ঞাপন

যে কারণে ভালো খেলেও হারলো বাংলাদেশ

October 10, 2018 | 5:51 pm

।। স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকাঃ ‘সারামাঠ ভালো খেলেও গোল নাই’ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে যেন এই কথাটিরই সবচেয়ে বেশিবার ব্যবহার হয়েছে। পুরো মাঠ জুড়ে দুর্দান্ত খেলে গোলপোস্টের সামনে এলেই খেই হারিয়ে যান লাল-সবুজরা। তার মাশুল ম্যাচ হেরেই দিতে হয় বাংলাদেশকে। বাড়তি স্টাইকার নিয়েও সমর্থকদের হাসি উপহার দিতে পারেন নি সুফিল-জীবনরা।

বিজ্ঞাপন

যদিও সেমি ফাইনালে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দল ফিলিস্তিন। শক্তি-দম-গতি বা উচ্চতা সবদিক থেকে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ লড়েছে সমান তালে। ম্যাচ জুড়ে ইমন-জামাল ভুঁইয়ারা গোলের সুযোগ তৈরি করেছে হালির উপরে। শুধু গোলপোস্টের সামনে সেই একই পরিণতি। ঠিক জালে জমছে না বল।

স্টাইকারদের ফিনিশিং ব্যর্থতা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিয়েছে বাংলাদেশকে। ভালো খেলেও আরেকবার দর্শকদের হতাশ করেছে জেমি ডে’র শিষ্যরা।

কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে আজ বুধবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল ম্যাচে ফিলিস্তিনের কাছে ২-০ গোলে ব্যবধানে হেরেছে দেশের ফুটবলাররা। ব্যবধান কমিয়ে অতিরিক্ত গোলেরও সুযোগ পেয়েছিলো তারা। তবে, কেন এই হার!

বিজ্ঞাপন

ফিলিস্তিনের সঙ্গে তিন ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থেকেই লাল-সবুজদের হারের কারণ ব্যাখ্যা করলেন দেশের জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি, ‘তারা অনেক শক্তিশালী দল। সেই হিসেবে তারা জয় পাবে সেটাও আগেই বুঝতে পারা যাচ্ছিল। তবে, বাংলাদেশও অনেক ভালো খেলেছে। বিশেষ করে প্রথমার্ধে। সুফিলতো একবার গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারলো না। সবচেয়ে বড় সুযোগটা পেয়েছিলো জীবন। ফিলিস্তিনের গোলরক্ষক বল ধরতে ব্যর্থ হলে ফাঁকা পোস্টেও গোল করতে পারে নি জীবন। এসব ম্যাচে খুব বেশি সুযোগ আসে না। যেসব আসবে সেগুলো কাজে লাগাতে হবে। ফিনিশিংয়ের অদক্ষতা আমার কাছে বড় মনে হয়েছে।’

ফিলিস্তিনের সঙ্গে এর আগে কখনও জেতে নি বাংলাদেশ। সর্বশেষ তিন দেখায় একটি ড্র ছাড়া বাকী দুই ম্যাচ হারের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের একটি ম্যাচে ঢাকার মাটিতে ড্র করেছিলো আমিনুল-এমিলি-ফয়সালরা। তাদের পরের জেনারেশন চেয়ে ছিলো একটি জয়ের অপেক্ষায়। সেই অপেক্ষা আরও বাড়লো।

আজকের ম্যাচের শুরুতে বল পেয়েই বাংলাদেশকে চেপে ধরে ফিলিস্তিন। প্রথম মিনিটেই কর্নার আদায় করে নেয়। সেখান থেকে পরিস্থিতি সামনে ২ মিনিটের মাথায় ডি বক্সের বাইরে থেকে বিপলুর শট ফিলিস্তিনের গোল বারের পাশ দিয়ে চলে যায়। তার ছয় মিনিট পরেই লিড পায় ফিলিস্তিন। মুসা আল বাত্তাতের পাস থেকে হেড থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন মোহাম্মদ বালাহ।

বিজ্ঞাপন

২১ মিনিটের মাথায় একটি দারুণ সুযোগ তৈরি করেন জীবন। বল নিয়ে মাঝ মাঠ থেকে ডি বক্সের সামনে থেকে পাস দেন সুফিলকে। সেখানে গোল রক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেন নি সুফিল।

তারপরের মিনিটেই আরও বড় সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এবার ফাঁকা জাল পেয়েও বল ঠিকানায় ফেলতে পারেননি জীবন। বারের সাইডে মেরে দেন বল। এই নাম্বার নাইনই প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ডি বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিলে আরেকটি সুযোগ নষ্ট হয়। হতাশ হয় সমর্থকরা। ম্যাচের যোগ করা সময়ে আরেকটি গোল খেয়ে ড্রয়ে ফেরার সুযোগ বলা চলে শেষ হয়ে যায়। ৯৪ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে ফাঁকা সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেন নি বদলি হিসেবে নামা সামে মারাবা।

জেমি ডে’ও সাফ ব্যর্থতার পরে স্টাইকারের অভাবকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছিলেন। যা সম্বল আছে তাই নিয়ে কাজ সাড়তে হবে বলেছিলেন। সেটা দিয়ে কতদিন! লিগে স্টাইকারদের সুযোগ বেশি করে তৈরি করার কথা বলেছেন কোচ। কিন্তু লিগে বিদেশি খেলোয়াড়ের ভিড়ে দেশি স্টাইকারের সুযোগ কতটুকু?

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন