বিজ্ঞাপন

শাজনীনের খুনি শহিদুলের ফাঁসি কার্যকর

November 29, 2017 | 4:12 pm

সারাবাংলা প্রতিবেদক

বিজ্ঞাপন

ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীন তাসনিম রহমানকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় গৃহকর্মী ইসলাম ওরফে শহীদের ফাঁসি হয়েছে। রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ফাঁসি কার্যকর হয় বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। কারা বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করে শহীদুলের লাশ রাতেই গোপালগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে।

১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানের নিজ বাসায় ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের একমাত্র মেয়ে ১৫ বছর বয়সী শাজনীন তাসনিম রহমানকে ধর্ষণের পর নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়। শাজনীন স্কলাস্টিকা স্কুলের ছাত্রী ছিল। পরদিন গুলশান থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা হয়। ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিচারিক আদালত শাজনীনকে ধর্ষণ, হত্যা ও হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে ছয় আসামির ফাঁসির দণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শাজনীনের বাসার গৃহকর্মী শহীদ, বাড়ির সংস্কারকাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান ও তার সহকারী বাদল, গৃহপরিচারিকা দুই বোন এস্তেমা খাতুন মিনু ও পারভিন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্টের রায়ে শনিরামকে ছাড়া বাকি পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ বহাল রাখা হয়।

বিজ্ঞাপন

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন চার আসামি। ফাঁসির আদেশ পাওয়া আরেক আসামি শহীদ জেল আপিল করেন। ২০১৬ সালের ২ আগস্ট আপিল বিভাগ চার আসামির আপিল মঞ্জুর ও শহীদের জেল আপিল খারিজ করে দেন। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন শহীদ। যা এ বছরের ৫ মার্চ আপিল বিভাগে খারিজ হয়ে যায়।

এরপর পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি কারাগারে গেলে শহীদ কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। সেটিও নাকচ হয়ে যায়। এরপরই দণ্ড কার্যকরের উদ্যোগ গ্রহণ করে কারা কর্তৃপক্ষ।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, শাজনীন ছিলেন একজন ভাগ্যহত ১৫ বছরের এক কিশোরী। যিনি পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান অর্থাৎ তার নিজের বাসার শয়নকক্ষে ছিলেন। যেখানে শাজনীনকে শহীদ সুরক্ষা প্রদান করার কথা ছিল কিন্তু তা না করে ধর্ষণ করার পর নির্মম ও অত্যন্ত অমানবিকভাবে হত্যা করেছে। এটি ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। তাই নমনীয় দ- দেওয়া হলে তা হবে ভুল জায়গায় সহানুভূতির প্রদর্শন ও ন্যায়বিচারের ব্যত্যয়।

বিজ্ঞাপন

জেইউ/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন