বিজ্ঞাপন

আজও লঞ্চ চলাচল বন্ধ, সদরঘাটে অপেক্ষায় যাত্রীরা

October 11, 2018 | 10:37 am

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে বুধবার (১০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে দেশের সকল নদী বন্দরে লঞ্চসহ সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নদী পথে যাতায়াত করা হাজারো যাত্রী।

দেশের বিভিন্ন নদী বন্দরের মত ঢাকা নদী বন্দরেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিতে না পেরে ফিরে গেছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সকাল থেকেও প্রায় তিন হাজার যাত্রী বন্দরে অবস্থান করছেন গন্তব্যে ফেরার অপেক্ষায়। কিন্তু কখন রওনা দিতে পারবেন তা এখনও অনিশ্চিত।

বিজ্ঞাপন

বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনার পর বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে বন্দর থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণার পর হাজার হাজার যাত্রী ফিরে গেছেন। কিন্তু যাদের গন্তব্যে যাওয়া অত্যন্ত জরুরি তারা রাতভর অপেক্ষায় ছিলেন বন্দরে। এইসব যাত্রীদের যেন থাকা খাওয়ার অসুবিধা না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রেখে তাদের জন্য বিনামূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

বুধবার সকাল ৯টায় টাঙ্গাইল থেকে ঢাকার সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা দেন রিপন-সামিয়া দম্পতি। লক্ষ্য ভোলা যাওয়া। কিন্তু বিকেল ৫টায় ঘাটে পৌঁছে জানতে পারলেন নৌ-চলাচল বন্ধ। ফিরে যাওয়ার উপায় ছিল না, তাই সকালের অপেক্ষায় সারারাত কাটিয়ে দিয়েছেন বন্দরেই। সকালেও লঞ্চ চলাচলের কোনো লক্ষণ না দেখে বিপদে পড়েছেন তারা।

সারাবাংলাকে রিপন বলেন, ‘এতো দূর থেকে ঘাটে আসলাম। প্রায় ৭/৮ ঘণ্টা জার্নি করে। এখন যদি আবার ফিরে যাই তাহলেও ৭/৮ ঘণ্টা লাগবে। তাই থেকে গেলাম। ভাবলাম সকালে লঞ্চ ছাড়বে। কিন্তু এখনও সম্ভাবনা নেই। তবে উল্টো ফিরতে চাই না। লঞ্চ যতক্ষণ না ছাড়ে অপেক্ষা করব।’

বিজ্ঞাপন

ময়মনসিংহ থেকে এসে বন্দরে রাতভর অপেক্ষা করেছেন বৃদ্ধ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘যেহেতু অনেক পথ পাড়ি দিয়ে ঘাটে এসেছি। তাই ফিরে যেতে চাই না। লঞ্চ যখনই ছাড়বে তখনই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেব। ময়মনসিংহ ফিরে যেতেও আরও বেশি কষ্ট হবে, তার চেয়ে এখানে বসে থাকি। এখানে তো ঘুমানো এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা আছে।’

ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, আবহাওয়া অফিস থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের যেন কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য তাদেরকে বন্দরে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। এখানে প্রায় তিন হাজার যাত্রীকে রাতে খাওয়ার এবং সকালে নাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী যদি প্রয়োজন হয় পরবর্তীতেও এসব ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে যাত্রীদের জন্য।

সদরঘাট নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আব্দুর রাজ্জাক সারাবাংলাকে বলেন, দুপুর ২ টা পর্যন্ত পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। এরপর নতুন আপডেট জানানো হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, গতকাল থেকে যেসব যাত্রীরা বন্দরে অবস্থান করছেন তাদের নিরাপত্তায় পুলিশ সজাগ রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

সারাবাংলা/এসএইচ/এসএমএন/ইউজে/এনএইচ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন