বিজ্ঞাপন

৪১ শতাংশ পানিতে ডায়রিয়ার জীবাণু: বিশ্বব্যাংক

October 11, 2018 | 1:54 pm

।।স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বাংলাদেশে ব্যবহার করা ৪১ শতাংশ পানিতে ডায়রিয়ার জীবাণু রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পাইপলাইনে সরবরাহ করা পানি, পুকুরের পানি, কুয়া ও টিউবওয়েলসহ সব ধরণের পানিতে ইকোলি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এই ব্যাকটেরিয়ার কারণে সব ধরনের মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যবিধি ও দারিদ্র্য সংক্রান্ত’ বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে উঠেছে। এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর শিরিন ঝুমা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুখসানা কাদের উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পানিতে ইকোলি ব্যাকটোরিয়ার থাকায় এবং স্যানিটেশন সমস্যার কারণে এক পঞ্চশাংশ দারিদ্র মানুষ পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পানিতে ইকোলি ব্যকটোরিয়া থাকার কারণে দারিদ্র্য, উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, শহর ও গ্রামের সবাই পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে, শহরের বস্তি এলাকার লোকজন আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এখন ৯৮ শতাংশ মানুষের কাছে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু এর চেয়ে প্রধান সমস্যা হলো সবার কাছে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। কিন্তু সেটা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানানো হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বর্তমানে সারাদেশে ৫ কোটি মানুষ টয়লেট শেয়ার করে। অর্থ্যাৎ একাধিক পরিবারের লোকজন একটি টয়লেট ব্যবহার করে। এই সংখ্যা গ্রামে যেমন রয়েছে তেমনি শহরেও রয়েছে। তবে শহরের বস্তি এলাকায় টয়লেট শেয়ারের সংখ্যা গ্রাম এলাকার লোকজনের তুলনায় তিনগুণ বেশি। ফলে এসব লোকজন নানা প্রকার রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে ভুগর্ভস্থ পানির ১৩ শতাংশে আর্সেনিক রয়েছে। সিলেট ও চট্রগ্রাম বিভাগে এই আর্সেনিকের সংখ্যা বেশি। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে পানিতে আর্সেনিকের সংখ্যা বাড়ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে দ্রুত দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে। তাই, দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর শিরিন ঝুমা বলেন, স্যানিটেশন এবং পানিজনিত সমস্যার কারণে বাংলাদেশের অনেক শিশু যথায়থভাবে বিকশিত হচ্ছে না। ৫ বছর বয়সের নীচে শিশুরা সবচেয়ে বেশি পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে পানি ও স্যানিটেশন সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এজন্য বিশ্বব্যাংক সব ধরনের সহায়তা করবে।

সারাবাংলা/জিএস/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন