বিজ্ঞাপন

দুর্যোগের ক্ষতি কমাতে প্রস্তুতি বাড়ানোর প্রত্যয়

October 13, 2018 | 9:17 am

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

যেকোনো ধরনের দুর্যোগের ক্ষতি কমাতে আগে থেকেই প্রস্তুতি বাড়ানোর প্রত্যয়ে আজ শনিবার (১৩ অক্টোবর) পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশন দিবস।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কমাতে হলে সম্পদের ক্ষতি, বাড়াতে হবে দুর্যোগের পূর্ব প্রস্তুতি’।

দিবসটি উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম রাখা হয়েছে। সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

বিজ্ঞাপন

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দুর্যোগের পূর্ব প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও দুর্যোগের সঠিক পূর্বাভাসে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়াও আবশ্যক।

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে ও দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি নিতে সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে এ উদ্যোগ সহায়ক হবে বলে মনে করেন।

বিজ্ঞাপন

আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব দুর্যোগের সংখ্যা ও মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি রয়েছে অগ্নিকাণ্ড ও দূষণজনিত মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। এসব দুর্যোগ মোকাবিলা ও তার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। এ প্রেক্ষাপটে এ বছরের প্রতিপাদ্য যথার্থ হয়েছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৩ সালে গৃহীত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিকে (সিপিপি) সদ্য স্বাধীন দেশে দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন। এর ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের বিভিন্ন নীতিমালার মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন,দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘অনুসরণীয় মডেল’ হিসেবে অধিষ্ঠিত করেছে।

সরকার দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়ার মাধ্যমে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে বলে বাণীতে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমাদের সরকার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০), ধ্বংসস্তূপ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা-২০১৬, দুর্যোগ-পরবর্তী মৃতদেহ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা-২০১৬ প্রণয়ন করেছে। গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাসমূহে ২ হাজার ৭৮ কিলোমিটার হেরিং বোন বন্ড করা হয়েছে এবং আরও ১ হাজার ৬৮ কিলোমিটার রাস্তার হেরিং বোন করার কাজ চলমান আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে ত্রাণ গুদাম নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বন্যাপ্রবণ এলাকায় ২৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় ১০০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৬৪৩টি বন্যা/ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং গ্রামীণ জনপদে সোলার সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বজ্রপাত প্রশমনের লক্ষ্যে এরই মধ্যে দেশে ৩১ লাখেরও বেশি তাল গাছের বীজ বপন করা হয়েছে। জাতীয় বিল্ডিং কোডে বজ্রপাত নিরোধক দণ্ড স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে এবারের আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের প্রতিপাদ্যে ‘ কমাতে হলে সম্পদের ক্ষতি, বাড়াতে হবে দুর্যোগের পূর্ব প্রস্তুতি’র মূল সুর প্রতিফলিত হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশন দিবস ২০১৮’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। বাসস।

সারাবাংলা/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন