বিজ্ঞাপন

আধাবেলার হরতাল চলছে

November 30, 2017 | 2:04 am

সারাবাংলা প্রতিবেদক

বিজ্ঞাপন

খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে আজ আধাবেলা হরতাল পালন করছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল চলবে।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গত বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ হরতাল কর্মসূচি দেয় সিপিবি, বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। তাতে সমর্থন জানায় আরও কয়েকটি দল।

সকালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), ইউনাইটেট কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন এই ৮ দলের সমন্বয়ে  শাহবাগ থেকে মৎস্যভবন, পল্টন, গুলিস্তান হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ করে।

বিজ্ঞাপন

তবে হরতালে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেওয়া সারাবাংলার প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন।ঢাকার পল্টন, প্রেসক্লাব, ধানমন্ডি, মোহাম্মদ পুর, শাহবাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। নাশকতা কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোড়ে মোড়ে ‍পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শাহবাগ মোড়ে হরতাল সমর্থকরা জড়ো হলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। মিছিল শেষে হরতাল সমর্থকরা শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ মাইকিং করে তাদের সরিয়ে দেয়।

শাহবাগ মোড়ে মিছিল সহকারে আসা সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী সারাবাংলাকে জানান, সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ আমার নেতৃত্বে মোট নয়টি পয়েন্টে মিছিল করেছে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা।

পরবর্তী কর্মসূচির কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন শেষে হয়তো পরবর্তী কোনো কর্মসূচি আসতে পারে।

বিজ্ঞাপন

বাম দলগুলোর ডাকা আধাবেলার হরতালের সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) ও সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি।

এদিকে, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, ভোর ৪টায় সিপিবি কার্যালয় থেকে দলটির ৪জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

আমাদের প্রতিবেদক জানিয়েছে, এই মুহূর্তে হরতাল সমর্থকরা শাহবাগ বিভিন্ন মোড় থেকে ঝটিকা মিছিল এবং মাইক ও ভ্যান নিয়ে এসে তাদের সমাবেশ করা শুরু করেছে। ‘প্রগতিশীল ছাত্র জোট’-এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক ইকবাল কবীর পুলিশের মারমুখী আচরণের নিন্দা জানিয়ে পুলিশকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে অভিহিত করেন।

 

সারাবাংলা/এসও/একে/আইজেকে/নভেম্বর ৩০, ২০১৭

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন