বিজ্ঞাপন

‘ধানের শীষে ধান নেই, চিটা ছাড়া’

October 14, 2018 | 4:56 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বিএনপি’র সঙ্গে ঐক্য করায় তাকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘কামাল হোসেনকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি নৌকা থেকে নেমে ধানের শীষের মুঠো ধরেছেন, যে ধানের শীষে ধান নেই, চিটা ছাড়া।’

রোববার (১৪ অক্টোবর) মাদারীপুরের শিবচরে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ড. কামালও কালো টাকা সাদা করেছেন, খালেদাও করেছেন। তারা আজকে জোট করেছে। রতনে রতন চেনে, শেয়ালে চেনে কচু।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জামায়াত-বিএনপি এক জোট। ওরা যখনই সুযোগ পায়, মানুষকে হত্যা করে, গুম করে। শুধু মানুষ হত্যা না, বিএনপির আমলে বাংলাদেশ ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কোকো-তারেক (খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো) মানি লন্ডারিং করতে গিয়ে আমেরিকায় ধরা পড়েছে। যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, যারা অগ্নিসন্ত্রাস করে, যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে (ড. কামাল হোসেন) ঐক্য করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ ২০০৮ সালে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তারা (বিএনপি-জামায়াত) মানুষ মেরেছে। কিন্তু মানুষ আবার ভোট দিয়েছে নৌকা মার্কায়। কারণ মানুষ জানে, নৌকা মার্কা মানে উন্নয়ন, নৌকা মার্কা মানে মানুষের ভালো থাকা। আওয়ামী লীগই এই দেশের উন্নয়ন করেছে, দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে। তাই মানুষ আবারও নৌকায় ভোট দেবে।

বিজ্ঞাপন

দেশের স্বাধীনতা অর্জনে আওয়ামী লীগ প্রধান ভূমিকা রেখেছে এবং দেশের অগ্রগতিতে আওয়ামী লীগই কাজ করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের এই অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে ফের আওয়ামী লীগ সরকারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলে আমরা উন্নয়ন করতে পেরেছি। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলে আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। আশা করব, আগামী নির্বাচনেও আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের এই ধারাকে অব্যাহত রাখবেন।

আগামীতে ক্ষমতায় এলে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এবার তো সময় নেই, আগামীতে সরকার ক্ষমতায় এলে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করতে পারব। এই পদ্মা সেতুর রেললাইন চলে যাবে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত।

তিনি বলেন, একটা কথা বলতে চাই, আমার তো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আপনারা ভালো থাকেন, সেটাই আমি চাই। আপনারা পাশে থাকলে, আপনাদের সহায়তা পেলে এই দেশকে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলার দেশ হিসেবে গড়ে তুলব ইনশাল্লাহ।

এর আগে, রোববার সকালে পদ্মা সেতু এলাকার মাওয়া প্রান্তে দৃশ্যমান পদ্মা সেতুর চলমান কাজ ও নদীশাসন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি রেল সংযোগের ভিত্তিপ্রস্তর ও এক্সপ্রেসওয়ের কাজ পরিদর্শন করেন। পরে পদ্মা পাড়ের মাওয়া প্রান্তে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তিনি। পদ্মা সেতুর ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতর সুবিধা বাড়বে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন হবে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন-

খুচরা আধুলিরা ঐক্য করেছে: প্রধানমন্ত্রী

স্বপ্নপূরণের উৎসবে পদ্মা পাড়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

বিডিআর বিদ্রোহে খালেদা-তারেক জড়িত: প্রধানমন্ত্রী

প্রমাণ করেছি আমরা পারি, পদ্মাসেতু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী

স্বপ্নপূরণের উৎসব: পদ্মাসেতুর নামফলক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আমেরিকার হুমকি ছিল, ইউনূসকে ব্যাংক থেকে সরালে পদ্মাসেতু হবে না

সারাবাংলা/একে/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন