বিজ্ঞাপন

‘এ জয় অমলেশ দা’র’; আবাহনীর শিরোপা উৎসর্গ

January 5, 2018 | 10:56 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

যে মানুষটি নীল শিবিরের ডাগআউটে সবচেয়ে বেশি সময় পার করেছিলেন সেই অমলেশ সেন নেই আজ। তবে তার অনুপস্থিতি এখনও কাঁদায় ঢাকা আবাহনীকে। খেলোয়াড় হিসেবে দাঁপিয়ে বেড়িয়ে কোচ হিসেবে সার্বক্ষণিক যে লোকটি আবাহনীকে সারাজীবন সেবা দিয়ে গিয়েছেন তার জন্যই আজকের শিরোপা উৎসর্গ করেছে কোচ, অধিনায়ক আর ম্যানেজার সবাই।

শেখ জামালকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রেখেছে ক্লাবের জন্মলগ্ন থেকে পাশে থাকা মানুষ অমলেশের ঢাকা আবাহনী।

এ জয়ের আগে নাকি তার কথা উল্লেখ করেই খেলোয়াড়দের মধ্যে উৎসাহ এনে দিয়েছিলেন কোচ আতিক। সবচেয়ে বড় উৎসাহ নাকি ছিলেন এই অমলেশ সেন। নাসির বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছা ছিল এ ট্রফিটা উৎসর্গ করবো। আমরা গোল যে করি। ট্রফিটা উৎসর্গ করবো।’

বিজ্ঞাপন

গত বছরের ৭ অক্টোবর হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ চলে গিয়েছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবলের দলের এই সদস্য। তাকে এখনও স্মরণ করেন ক্লাবের কর্মকর্তারা। সে কথাই বললেন ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু, ‘আজকে আমরা তাকে গভীরভাবে মিস করছি। সবাই তার জন্য খেলেছে।’

১৯৪৩ সালে ২ মার্চ বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীণ এই ফুটবল গুরু। বর্ণালি ক্যারিয়ারে খেলেছেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়েও ।

ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বাইটন ক্লাবের হয়ে বগুড়ায়, পাঁচ বছর খেলে চলে আসেন রাজধানীতে। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত খেলেন ফায়ার সার্ভিস ও ইস্ট অ্যান্ড ক্লাবে। ১৯৭০ সালে যোগ দেন ঢাকা মোহামেডানে। স্বাধীনতাযুদ্ধের পরে ১৯৭২ সালে যোগ দেন আবাহনীতে। সেই থেকে টানা ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত খেলেছেন তাঁর প্রিয় দলেই। অবসর গ্রহণের পর আবাহনীর কোচ হিসেবেই ছিলেন আমৃত্যু।

বিজ্ঞাপন

তবে উৎসর্গের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসলেও মাঠেই সেই প্রাথমিক উৎসর্গের কথা জানান কোচ আতিকুর রহমান আতিকও, ‘অমলেশ দা সারাজীবন আবাহনীকে সেবা দিয়ে গেছেন। তার জন্য উৎসর্গ এ শিরোপা দরকার ছিল।’

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন