বিজ্ঞাপন

অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ঢল: সাময়িক কাজের সুযোগ দিতে চায় মেক্সিকো

October 27, 2018 | 4:08 pm

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

আশ্রয় পেতে মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে ভিড় করছেন মধ্য আমেরিকার তিনটি দেশের হাজার হাজার অভিবাসন-প্রত্যাশী। তাদের সবার লক্ষ্য সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ পাওয়া। তবে এসব আশ্রয়প্রার্থীকে থামাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এরইমধ্যে, অভিবাসন-প্রত্যাশীদের সাময়িক কাজের সুযোগ দিতে চায় বলে জানিয়েছে মেক্সিকো।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট পেনা নিটো বলেন, আজ মেক্সিকো তোমাদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছে। যারা শরণার্থী হিসেবে মেক্সিকোর নিয়ম মেনে চলবে তাদের জন্য এটি স্থায়ী সমাধান।

বিজ্ঞাপন

শরণার্থীদের সাময়িক আইডি কার্ড, চিকিৎসাসেবা ও তাদের শিশুদের শিক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে। তবে অভিবাসন-প্রত্যাশীরা মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলের চিয়াপাস ও ওয়াক্সাকা- এই রাজ্য দুটিকে বসবাসের জন্য বেছে নিতে পারবেন।

অভিবাসন-প্রত্যাশীদের সমস্যা সমাধানের জন্য মেক্সিকো চাপে রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে হুঁশিয়ারি তুলেছেন, আমি জাতীয় জরুরি অবস্থার জন্য সেনা সদস্যদের মাঠে নামাচ্ছি। অভিবাসীদের রুখে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ৮০০ সৈন্য পাঠানো হতে পারে বলে জানায় দেশটি।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া, যে তিনটি দেশ (গুয়াতেমালো, এল-সালভেদর, হন্ডুরাস) থেকে অভিবাসীদের ‍ঢল নেমেছে আসছেন ট্রাম্প সেসব দেশকে সাহায্য কমিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন।

তবে সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও আশ্রয়প্রার্থীরা মেক্সিকোতে বসবাসের বিষয়ে অনাগ্রহ জানিয়েছে। অধিকাংশ অভিবাসীরা বলছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রেই আশ্রয় পেতে চায়। সেখানে তারা অধিকতর ভালো জীবনের নিশ্চয়তা পাবেন।

হন্ডুরাস থেকে আসা আনা লিসেট ভালকেজ জানান, মেক্সিকোর প্রস্তাবটি উষ্ণ তবে এটি আমাদের পরিকল্পনা নয়। তবে কেউ কেউ মেক্সিকোর প্রস্তাবকে প্ল্যান ‘বি’ বা বিকল্প হিসেবে দেখছেন। কারণ তারা আর নিজেদের দেশে ফিরে যাবেন না। সেখানে নিপীড়ন, দারিদ্র ও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র জানান, ২২ অক্টোবর থেকে অভিবাসন-প্রত্যাশী অভিযাত্রী দলে ৭ হাজারের বেশি মানুষ জড়ো হয়েছে। তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে তাই সঠিক সংখ্যাটা হিসেব করা সম্ভব নয়।

চলতি বছরের জুনে অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস ঘোষণা করেন, নিজ দেশে ভালো নেই বা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, শুধু এই আবেদনে কাউকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হবে না। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হয় এমন কোন গুরুতর বিষয় সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

সারাবাংলা/এনএইচ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন