বিজ্ঞাপন

হাইকোর্টেও সাংবাদিক মিঠু হত্যায় তিনজনের ফাঁসি বহাল

October 31, 2018 | 6:36 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বেসরকারি টেলিভিশন ‘এটিএন বাংলা’র সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম মিঠু (৪০) হত্যায় বিচারিক আদালতের দেওয়া তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।

বুধবার (৩১ অক্টোবর) ডেথ রেফারেন্স ও বিচারকি আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তিন আসামির করা আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি ভাবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতির মো. কামরুল হেসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। তিন আসামি মো. রতন মিয়ার পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী অনোয়ারুল ইসলাম, আসামি মো. সুজন ও মো. রাজু ওরফে জামাই রাজুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম।

বিজ্ঞাপন

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ বলেন, ‘আসামি মো. রতন মিয়া, মো. সুজন ও মো. রাজু ওরফে জামাই রাজুর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশের অনুমোদনের আবেদন) গ্রহণ করে ও বিচারকি আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তাদের করা আপিল খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন।’

এদিকে পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন আসামিদের আইনজীবীরা।

গত ২৪ অক্টোবর এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও তিন আসামির করা আপিলের শুনানি শেষ হয়। পরে আদালত বুধবার রায়ের জন্য দিন ঠিক করে দেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার ঘটনা থেকে জানা যায়, ২০১০ সালে ৮ মে অফিস শেষ করে রাত সাড়ে ১০টা-১১টার দিকে কারওয়ান বাজারের এটিএন বাংলার কার্যালয় থেকে বাসায় ফিরতে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখন যাত্রী বহনের ছলে শফিকুল ইসলাম মিঠুকে তুলে নিয়ে যায় ছিনতাইকারী তিন আসামির এ চক্র।

ছিনতাইয়ের এক পর্যায়ে মিঠুর সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে তাকে হত্যা করে লাশ তুরাগ থানার রোস্তমপুর এলাকার বেড়িবাঁধের ঢালে ফেলে রেখে যায়। রাতে বাসায় না ফিরলে পরদিন সকালে সাংবাদিক মিঠুর ছোটো ভাই মো. রহমত উল-ইসলাম (৩৫) দক্ষিণখান থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।

সাধারণ ডায়রি করার পরপরই পুলিশের মাধ্যমেই দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানতে পারেন তুরাগ থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি অজ্ঞাত মৃতদেহ পড়ে আছে। সেখানে ভাই রহমত উল-ইসলাম মিঠুর লাশ শনাক্ত করার পর অজ্ঞাতদের আসামি করে তুরাগ থানায় হত্যা মামলা করে।

মামলার তিনদিন পর অর্থাৎ ১৩ মে ঢাকায় আসামি রতন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে পুলিশের কাছে মিঠু হত্যার কথা স্বীকার করে। পরদিন মহানগর হাকিম আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও উঠে আসে মিঠু হত্যার ঘটনা। এর দুইদিন পর আরেক হত্যা মামলায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গ্রেপ্তার হন অপর দুই আসামি মো. রাজু ও মো. সুজন।পরদিন টাঙ্গাইলের হাকিম আদালতে দেওয়া এ দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে সাংবাদিক মিঠু হত্যার কথা। এরপর তাদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

বিজ্ঞাপন

এরপর বিচারিক আদালত ২০১৩ সালের ২৬ ফব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত সেশন জজ (তৃতীয়) আখতারুজ্জামান তিন আসামিকে মৃত্যদণ্ড দেয়। এ রায়ের পর মামলার ডেথ রেফারেন্স ও রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল আসে হাইকোর্টে। এরপর হাইকোর্টে দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ এ রায় দেন।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন