বিজ্ঞাপন

সংসদ নির্বাচনের দিন গণনা শুরু

October 31, 2018 | 7:24 pm

।। গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আজ বুবধার (৩১ অক্টোবর) থেকে দিন গণনা শুরু হয়েছে । সংবিধান অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে আইনি বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে।

সংসদ অধিবেশন বসার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূরণের আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সেই হিসাবে আজ থেকে শুরু হয়েছে ৯০ দিনের গণনা।

এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ৩০ অক্টোবরের পর থেকে নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে। আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন করতে হবে। সে অনুযায়ী কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

কবে তফসিল ঘোষণা করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অগামী ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক হবে। বৈঠকের পর ৩ নভেম্বর (শনিবার) নির্বাচন কমিশনের কমিশন সভা আছে। তারপর যেকোন দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।

এদিকে বুধবার আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে ইসি সচিব হেলালদ্দীন আহমদ বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন সামনে রেখে আগামী দুএকদিনের মধ্যেই বিশেষ অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে গণপ্রতিনিধি আদেশ (আরপিও) সংশোধন করা হবে।

তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, স্কুলগুলোতে ভোটকেন্দ্র থাকবে। তা ছাড়া স্কুলশিক্ষকরা ভোটের দিন প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন। এসব কারণেই ডিসেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে সব স্কুলের পরীক্ষা যেন শেষ হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ইসি সূত্র জানায়, সংসদ নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে চার কমিশনার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং তফসিল ঘোষণার বিষয়ে অবহিত করা হবে। রাষ্ট্রপতি সাক্ষাতের একদিন পর ৩ নভেম্বর বিকেল তিনটায় কমিশন সভায় বসবে নির্বাচন কমিশন। ওই সভায় তফসিল ঘোষণার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরদিন ৪ নভেম্বর আরেকটি কমিশন সভায় বসবে কমিশন। ওই কমিশন সভা শেষে অর্থাৎ ৪ নভেম্বরই তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।

তবে আগামী রোববারের পরিবর্তে পরদিন ৫ নভেম্বর, সোমবার কমিশন সভা শেষে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

এর আগে ৪ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা হবে পারে বলে সংবাদ প্রকাশ করে সারাবাংলা ডটনেটসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। ফলে কমিশনের একটি অংশ চাচ্ছে না ৪ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হোক।সেক্ষেত্রে একদিন পিছিয়ে ৫ নভেম্বরও তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে কাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের ওপর। আর এ ক্ষেত্রে ইসির পুরো সিডিউল পরিবর্তন হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে আছে। আর এটা হতে পারে ৪ নভেম্বর, আর তফসিল ঘোষণার আলোকে ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে অর্তাৎ ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর এই তিন দিনের যেকোন একদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ তফসিল ঘোষণার পর ৪০ থেকে ৪৮ দিন পর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর কমিশন সভা শেষে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল রকিব উদ্দিন কমিশন। সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৫ জানুয়ারি। ওই সময় তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন পর্যন্ত মাঝে ৪১ দিন সময় ছিল।

বিজ্ঞাপন

তফসিলের বিষয়টি চূড়ান্ত হলে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে তা সম্প্রচার করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নরুল হুদা।

সারাবাংলা/জিএস/এমআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন