বিজ্ঞাপন

মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, বাড়ছে শীতের রোগ।

January 7, 2018 | 1:25 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

শৈত্যপ্রবাহ, ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন।  শীতের কারণে বাড়ছে রোগ-বালাই। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। দেশের উত্তর অঞ্চলে রোববার (৭ জানুয়ারি) এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.১ রেকর্ড করা হয়েছে। এ শৈত্যপ্রবাহ থাকবে আরও দুইদিন, তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, উত্তরের জনপদে দিনাজপুরে আজ রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৫ দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহে কমছে তাপমাত্রা, বাড়ছে শীতের তীব্রতা।

শৈত্যপ্রবাহ আর হিমেল হাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দিনাজপুর থেকে স্থানীয় প্রতিনিধি জানান, সন্ধ্যে হলেই দিনাজপুরের রাস্তা-ঘাট ফাঁকা হয়ে পড়ছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। হত-দরিদ্র, ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে চরমে। গরম কাপড়ের অভাবে কাজে বের হতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। অসুস্থ হয়ে পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। নিউমোনিয়া,আমাশয়,ডায়রিয়া ও শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

তীব্র শীতে ফসল উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। দিনাজপুরের উলিপুর এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, শীতের কারণে তার বোরো বীজতলা ও আলু ক্ষেতে ছত্রাক জাতীয় রোগ দেখা দিয়েছে। এতে বাড়তি অর্থ ব্যয় করে ফসলে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে।

গাইবান্ধায় ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশা কারণে শহর ও গ্রামের মানুষের জীবনে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।  অন্যান্য এলাকার মতো গাইবান্ধায়ও দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। টানা ৫ দিনের শৈত্য প্রবাহে স্থবির হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামও। আজ সকালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কুড়িগ্রাম থেকে স্থানীয় প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে শতাধিক রোগী। আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছে আরও ২শতাধিক রোগী। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। জেলায় সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত ৫৭ হাজার কম্বলের মধ্যে ৫০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

বিজ্ঞাপন

একই হাল উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের মানুষদের। সেখানকার স্থানীয় প্রতিনিধি জানিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া কেউ বের ঘর থেকে বের হচ্ছে না। কর্মহীন হয়ে পরেছে দিনমজুররা। রবিবার সকালে লালমনিরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার পর্যন্ত জেলার ৫টি হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ১৭৩জন।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, জেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ৩১ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও করা হবে বলে জানান তিনি।

সারাবাংলা/টিএম/এমএ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন