বিজ্ঞাপন

সেতুতে ‘বিচারকের গাড়ি’ আটকে চাঁদাবাজি, আদালতে মামলা

November 5, 2018 | 3:44 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম-বাঁশখালী সড়কে সাঙ্গু নদীর উপর তৈলারদ্বীপ সেতুর টোলপ্লাজায় গাড়ি আটকে চাঁদা দাবির অভিযোগে উঠেছে টোল আদায়কারী অফিসের ছয় কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সোমবার (০৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন, আবুল কাশেম ও আবুল হাশেম এবং হেলাল উদ্দিন, ইমরান, রাব্বি ও রোকন।

মামলার আরজিতে বলা হয়, বান্দরবানের লামার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলী আক্কাস সম্প্রতি সুনামগঞ্জে বদলি হয়েছে। রোববার তিনি একটি ট্রাক ভাড়া করে লামা’র বাসার মালামাল পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন চট্টগ্রাম নগরীর বাসায়। লামার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মচারীকে (স্টোনো টাইপিস্ট) মো.মেজবাহ উদ্দিন (৩১) ট্রাক নিয়ে বান্দরবান থেকে পেকুয়া হয়ে বাঁশখালী দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে যাচ্ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

তাদের ট্রাক বাঁশখালী থেকে আনোয়ারার প্রবেশমুখে তৈলারদ্বীপ সেতুতে পৌঁছলে কয়েকজন তাদের গাড়ি ঘিরে ধরে প্রথমে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। মেজবাহ উদ্দিন টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার মাথায় পিস্তল ও পেটে ছোরা ঠেকিয়ে তার কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরিচয় পাবার পর তারা আদালত ও পুলিশ সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করে।

সেতু পার হয়ে মেজবাহ উদ্দিন বিচারক আলী আক্কাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিচারকের পরামর্শে তিনি প্রথমে আনোয়ারা থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানা মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, থানা মামলা না নেওয়ায় আমরা আদালতে মামলা করেছি। আদালত থানাকে এজাহার হিসেবে মামলা রেকর্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামিরা সবাই টোল অফিসের কর্মচারী। তারা টোল আদায়ের নামে মানুষকে রীতিমতো জিম্মি করে রেখেছেন বলে বাদি অভিযোগ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৮৫, ৩০৭, ৩৭৯ ও ৫০৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই আইনজীবী।

সারাবাংলা/আরডি/এনএইচ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন