বিজ্ঞাপন

সকালে জাতীয় পার্টি, বিকালে আ.লীগের সঙ্গে ইসির বৈঠক

November 7, 2018 | 10:57 am

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বুধবার (৭ নভেম্বর) ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বেলা ১১ টায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে সম্মিলিত জোটের শীর্ষ নেতারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আর বিকালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইসি‘র বৈঠকের কথা রয়েছে।

ইসির যুগ্মসচিব (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান আরজু সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বুধবার বিকেল ৪টায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা হবে। অন্যদিকে সকাল ১১টায় ইসির সঙ্গে বৈঠকে বসবে জাতীয় পার্টি।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সংসদ নির্বাচনের তফসিল পিছিয়ে দেয়া, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করা এবং নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনামোতায়েনের দাবি জানিয়ে গত ৫ নভেম্বর ইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পরদিন ৬ নভেম্বর ইসির ঘোষিত তারিখ তফসিল ঘোষণা, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখা এবং নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে ইসির সঙ্গ বৈঠক করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন জোট যুক্তফ্রন্ট।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় পার্টি, যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এরইমধ্যে সংলাপে অংশ নিয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আজ আবারও বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আর কোনো সংলাপ হবে না। আগামী ৮ নভেম্বর সংলাপের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করবে বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

উল্লেখ্য গত ৪ নভেম্বর কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন আগামী ৮ নভেম্বর জাতীর উদ্দেশ্য বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ  টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। তবে যুক্তফ্রন্ট সংলাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা না করার দাবি জানান। অবশ্য ইসি তা এখনো আমলে নেয়নি। বরং ৬ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরল হুদা জানিয়েছেন, ৮ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল পেছানোর কোন সুযোগ নেই। তবে দলগুলো চাইলে নির্বাচনের তারিখ পেছানো যেতে পারে। যদিও নির্বাচন কমিশন ৮ নভেম্বর তফসিল দিয়ে ৪৫ দিনের কাছাকাছি সময় হাতে রেখে আগামী ২৩ ডিসেম্বর কাছাকাছি সময়ে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। কারণ সংবিধান অনুয়ারি আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ভোটগ্রহণে বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/এসএমএন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন