বিজ্ঞাপন

খালেদার মুক্তি ও সুষ্ঠু নির্বাচনে আন্দোলনের বার্তা ঐক্যফ্রন্টের

November 9, 2018 | 8:55 pm

।। সাদ্দাম হোসাইন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

রাজশাহী থেকে: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুষ্ঠু নির্বাচনে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। আর সে জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (৯ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত রাজশাহীর কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত আয়োজিত সমাবেশে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এ সব কথা বলেন।

সমাবেশটি ঐক্যফ্রন্টের হলেও পুরো সমাবেশ জুড়ে ছিল বিএনপির নেত্রীর মুক্তি নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান মুখর বক্তব্য। তবে মাঠে আগত নেতাকর্মীরাও ব্যানার ফেস্টুনে বিএনপি নেত্রীর মুক্তির দাবি নিয়ে সমাবেশে এসেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হওয়া ২০ দল ছাড়াও অন্যান্য দলগুলোর বক্তব্যের বেশিরভাগ জুড়ে ছিল বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তি নিয়ে স্লোগান। তারা বর্তমান সময়কে সংকটকালীন আখ্যায়িত করে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে জন আন্দোলন গড়ে তোলার নির্দেশ দেন নেতাকর্মীদের। সেই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয় বলেও জানান তারা। এমনকি তাকে মুক্তি না দিলে ঢাকা অচলের ঘোষণা চান নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক ও শীর্ষ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ওনারা বললেন সংসদ যদি ভেঙে দিই তাহলে সরকার তো থাকবে না আবার সামরিক অভ্যূত্থান হবে। সামরিক বাহিনীকে এত ভয় পান কেন? এতো কিছু হয়েছে তারা তো ক্ষমতা নেয়নি। আমরা সামরিক বাহিনী চায় না, আমরা নির্বাচন বানচালও চায় না। কিন্তু শেখ হাসিনাকেও চায় না। আমরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। তার মুক্তির মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ চায়। অন্যথায় আন্দোলন চলবে।’

বিজ্ঞাপন

মান্না আরও বলেন, আজকে আমাদের সমাবেশকে ঘিরে নাটোর, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলার পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি আমাদের নেতাকর্মীদের পথে পথে আটকিয়ে দিয়েছে। সমাবেশে আসতে দেয়নি। তবুও আজ মাঠ কানায় কানায় ভরপুর। কারণ দেশেরর মানুষ গণতন্ত্রের জন্য লড়তে চান।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘যে দেশে প্রধান বিচারপতি বিচার পায়না সেখানে এ অসুস্থ বিচারপতিরা সুস্থ হলেই খালেদা জিয়া মুক্ত হবে। আজকে কৃষকের পণ্যের মূল্য নাই। যদি আপনারা ভোটের ময়দানে এসে ভোট দেন। তাহলে নিশ্চয় এ সরকারের পতন হবে।’ তবেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত বলে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।

সম্প্রতি ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হওয়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি কিন্তু বিএনপির সমাবেশে আসি নাই। কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে এসেছি। আপনারা যদি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চান তাহলে ঐক্যফ্রন্টে অটুট থাকুন। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আপনাদের ছটফট করতে হবে না। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতি মানে খালেদা জিয়া। তাই দেশের এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে দেশকে (খালেদা জিয়া) বন্দি রাখা যেতে পারে। তাই তাকে আর বন্দি রাখা সম্ভব নয়।’

বিজ্ঞাপন

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা আ স ম আব্দুর রব সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘নেত্রীর মুক্তি চান? তাহলে এলোমেলো স্লোগান বন্ধ করে সারাদেশে নেত্রীর মুক্তি দাও, দিতে হবে, দিয়ে দাও’ এ স্লোগান নিয়ে আন্দোলনে এগুতে হবে। আমরা বলেছি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করুন, খালেদা জিয়ার মুক্তি দিন। যদি তা না হয় আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় হবে সেটি।’

সমাবেশে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দেশনেত্রী মানে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র মানেই দেশনেত্রী। দেশনেত্রী আর গণতন্ত্র মিলেমিশে একাকার। তাই গণতন্ত্রের মাকে কারাগারে রেখে নির্বাচন আশা করা যায় না। সংলাপ ফলপ্রসূ সম্ভব নয়। দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।’

এ সময় বিএনপির মহাসচিব সারাদেশে রাজনৈতিক মামলায় আটক সকল নেতাকর্মীর অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।

সারাবাংলা/এসএইচ/একে

আরও পড়ুন

ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে ঢাকা অচলের দাবি

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন