বিজ্ঞাপন

হরতালের ‘মৌখিক’ সমর্থন দিয়ে অফিসে আসেননি রিজভী

November 30, 2017 | 9:51 am

সারাবাংলা প্রতিবেদক

বিজ্ঞাপন

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বাম দলগুলোর ডাকা অর্ধ দিবস হরতালে গতকাল (বুধবার) ‘মৌখিক’ সমর্থন জানিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেননি বিএনপির সিনিয়র সহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এর আগে বুধবার প্রেসক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠান থেকে বাম দলের হরতালে মৌখিক সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাম দলের যৌক্তিক হরতালে বিএনপির পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাম দলের হরতালে বিএনপির কোন আনুষ্ঠানিক সমর্থন নেই এবং হরতালের সমর্থনের বিএনপির পক্ষ থেকে কোন দলীয় বিবৃতি বা সমর্থন জানানো হয়নি।

বিজ্ঞাপন

২৩ নভেম্বর বাম দলগুলোর হরতাল ঘোষণার পরের দিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা অবশ্যই কর্মসূচি দেব। আমাদের একটা ধারণা আছে-হরতাল দেওয়া মানে জনগণের সম্পৃক্ততা, এটা সব সময় সঠিক নয়। জনগণের সম্পৃক্ততা নিয়েই আমরা আমাদের পক্ষে যেটা সম্ভব হবে সেই কর্মসূচি দেব। আমরা জনগণের সঙ্গে আছি।’

হরতালে রিজভীর সমর্থন কি নিতান্তই ব্যক্তিগত ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের একজন কর্মচারী সারাবাংলাকে বলেন- হরতালের সমর্থনে দলের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। দলের হাইকমান্ড থেকেও এ ধরনের কোনো নির্দেশনা আসেনি। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বুধবার প্রেসক্লাবে যেটা বলেছেন, সেটা নিতান্তই তার ব্যক্তিগত ঘোষণা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, রুহুল কবির রিজভীর চেয়ারে বসে আছে দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ। অফিস কর্মচারীদের জিজ্ঞেস করলে তাঁরা জানান, এখন পযর্ন্ত অফিসে আসেননি রুহুল কবির রিজভী। যদিও প্রতিদিন সকাল ১০ টার মধ্যে অফিসে আসেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এ সময় একজন ‘টিপ্পনী’ কেটে বলেন, বাসায় বসে হরতাল পালন করছেন তিনি। বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হলে তো তার অবস্থান হরতালের বিরুদ্ধে চলে যাবে। সুতরাং হরতালে জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করতেই অফিসে আসেননি রুহুল কবির রিজভী!

বিএনপি অফিসে আবদুস সালাম আজাদ ছাড়া সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুকে দেখা গেছে। এ সময় বিএনপির ফাঁকা কার্যালয়ে ৮-১০ জন কর্মচারী ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি। এমন কি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও দেখা মেলেনি।  অবশ্য বিএনপি কার্যালয় থেকে বেশ কিছুটা দূরে ৩ জন পুলিশ সদস্যকে বেঞ্চ পেতে বসে থাকতে দেখা যায়।

তবে হরতালের প্রতি নৈতিক সমর্থন জানিয়ে হরতাল চলাকালে আদালতে যাননি বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বেলা সোয়া ১২ টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় তার প্রেসউইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার সারাবাংলাকে বলেন, হরতালের পরে আদালতে যাওয়ার কথা রয়েছে ম্যাডামের। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।

সারাবাংলা/এজেড/এমএম/ নভেম্বর ৩০, ২০১৭

বিজ্ঞাপন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন