বিজ্ঞাপন

বিএনপি অফিসের সামনে গুলি, গাড়িতে আগুন

November 14, 2018 | 1:22 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৪ নভেম্বর) তৃতীয় দিনের মতো দলের মনোনয়নপত্র বিক্রির দিনে দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় বিক্ষুব্ধ বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের টহল গাড়ি ও একটি মাইক্রোবাসে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় গুলির শব্দও শোনা যায়। সংঘর্ষে ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পল্টন থানার ডিউটি অফিসার এস এম সুলতানা সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, ‘সকাল থেকে বিএনপি অফিসের সামনে মনোনয়নপত্র কেনার ভিড় থাকায় বিএনপি অফিসের সামনের রাস্তাটি যান চলাচলের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে তারা উল্টো পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।’

‘এর পরে পুলিশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে।’

বিজ্ঞাপন

ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ফকিরাপুল থেকে বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কি পর্যন্ত অবস্থান নেয়। অন্যদিকে পুলিশ কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেয়।

বিএনপি নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করছেন তাদের ২০ থেকে ২৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন। তবে পুলিশের দাবি ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়ে থাকেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিএনপি নয়া পল্টন কার্যলয়ের সামনে থেকে সরে গিয়ে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হলেও দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বিএনপি অফিসের সামনে।

বিএনপি নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়া পল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিচ্ছেঅ অনেকে লাঠি সোটা নিয়ে পুলিশের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে না পারায় পুড়তে থাকা গাড়িগুলোর আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।

সংঘর্ষের পর বিএনপি কার্যালয়ে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আহত অবস্থা দেখা গেছে। এ ছাড়া বেশ কিছু নেতা-কর্মীদের আটক করতেও দেখা গেছে।

তবে মতিঝিল থানার ডিসি আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, আমরা অত্যন্ত ধৈর্য ধরে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। এ ঘটনায় আমাদের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। আমি জানতে পেরেছি আমাদের দুটি গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত।

এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হবে কি না জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন বলেন, না, এ মুহূর্তে কাউকে আটক করা হচ্ছে না।

ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের শান্তিপূর্ণ দায়িত্বপালনকালে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর চড়াও হয়, কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় আমাদের ১৩ জন আহত হয়ে হাসপাতালে আছে। সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে ইস্যু তৈরির উদ্দেশ্যে তারা এ হামলা করে।

পুলিশ রাষ্ট্রের কর্মচারি। রাস্তায় যানবাহন সুষ্ঠুভাবে চলাচলে তাদের কাজ করতে হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, পুলিশকে প্রতিপক্ষ না ভেবে তাদের নিয়মতান্ত্রিক কাজ অব্যাহত রাখতে সহযোগিতা করবেন।

সারাবাংলা/এজেড/এসটি/জেএএম/এমআই

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন