November 24, 2018 | 5:59 pm
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩শ আসনের মধ্যে ৬টি পূর্ণ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ৩শ আসনের মধ্যে ৬টি পূর্ণ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে কোন কোন আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে তা জানা যাবে আগামী ২৮ নভেম্বর।
তিনি বলেন, দৈবচয়নে আসনগুলো বাছাই করা হবে। আর আসনগুলো হবে সারাদেশের শহর এলাকায়। এই ছয় আসনে ইভিএম-এর পাশাপাশি ব্যালট বাক্স ও পেপার রাখার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মোট ৬টি আসনের কতগুলো কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আসন নির্ধারণ করা হয়নি তাই প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে দেড়শটি করে কেন্দ্র ধরে নিলে মোট ৯শ কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হতে পারে।
এত প্রস্তুতি, এত বাজেট, এত প্রশিক্ষণ থাকার পরও কেন মাত্র ৬টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৬টি আসন কিন্তু কম নয়। গড়ে যদি প্রত্যেকটি আসনে ১৫০টি কেন্দ্র হয়, তাহলে প্রায় ৯শ কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এখন যেসব আসন নির্ধারণ করা হবে, সেসব আসনে কতগুলো কেন্দ্র আছে, সব কিছু বিবেচনা করেই জনবল নির্ধারণ করা হবে।
বিধান রাখা হয়েছে, কোনো ভোটার যদি ইভিএম-এ ভোট দিতে না পারেন বা আঙুলের ছাপ না মেলে সে ক্ষেত্রে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ওই ভোটারের পক্ষে ভোট দিতে পারবেন। একজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোট ভোটের কত শতাংশ দিতে পারবেন জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, একজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোট ভোটারের পক্ষে ২৫ শতাংশ ভোট দিয়ে দিতে পারবেন।
এর আগে কমিশনার মাহবুব তালুকদার ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেছিলেন। আজকের বৈঠকে তার ভূমিকা কী ছিল- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এর বিরোধিতা করেননি। তাই ধরে নিতে হবে তিনি সম্মতি দিয়েছেন।
এ পর্যন্ত ৩৫টি রাজনৈতিক দল ও অংশীজনরা ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করার পরও কেন এই সিদ্ধান্ত- জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, এটি কমিশনের সিদ্ধান্ত। সামনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় যেহেতু বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে, মানুষ অনেক শিক্ষিত হয়েছে এবং বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে সফলতা পাওয়া গেছে। সব দিক বিবেচনা করেই কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নির্বাচন ম্যানুপুলেট করতে ইসি সচিব চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজ এবং ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে বৈঠক করেছেন- বিএনপি’র এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি এই ধরনের কোনো বৈঠক করিনি। বিএনপি’র এই বক্তব্যের নিন্দা জানাই আমি। রাজনৈতিক দলের এমন মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা আগামী কমিশন বৈঠকে আলোচনা করা হবে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার ও হয়রানির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আগামীকাল (রোববার) কমিশন বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। অভিযোগগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কমিশনে লিখিতভাবে অভিযোগ আসা এবং ইসি’র সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই বিভিন্ন মিডিয়ায় আসছে।
সারাবাংলা/জিএস/এটি