বিজ্ঞাপন

নিষিদ্ধ সহ হকির ৫ কর্মকর্তার শাস্তি

November 26, 2018 | 9:03 pm

।। স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

প্রায় পাঁচ মাস পর অমীমাংসিত লিগ নিয়ে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) কার্যনির্বাহী কমিটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মেরিনার্স ইয়াংস ক্লাবের কর্মকর্তারা। গত ৭ জুন মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার হকি লিগে হট্টগোলে অসমাপ্ত হয়েছিল মোহামেডান ও মেরিনার্স ইয়াংসের ম্যাচ।

অনাকাঙ্খিত সেই ঘটনায় বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন মোহামেডান ও মেরিনার্সের চার কর্মকর্তাকে ৫ বছর নিষিদ্ধ করেছে।

কিছুদিন আগে অমীমাংসিত লিগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিল মেরিনার্স। সেখানে ষড়যন্ত্রের আভাস মনে করে বিবৃতি দিয়েছিলেন ক্লাবটির কর্মকর্তারা। তারপর গত ৩০ অক্টোবর নির্বাহী কমিটি ম্যাচটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তও দিয়েছে। এবার নেমে এলো শাস্তির খড়গ।

বিজ্ঞাপন

১-১ গোলের সমতায় সেই ম্যাচ আর মাঠে গড়ায়নি। এরপর লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ও নির্বাহী কমিটির উপর সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেয়ার পর সিদ্ধান্ত আসে- ম্যাচটি ড্র। ১ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, রানার আপ ঢাকা আবাহনী। আর তৃতীয় হয় মেরিনার্স ইয়াং ক্লাব। এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বাহফের অ্যাডহক কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন মেরিনার্সের তিন কর্মকর্তা। ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটিতে ছিলেন ক্লাবটির সহ-সভাপতি মোমিনুল হক সাঈদ, যুগ্ম সম্পাদক বদরুল ইসলাম দিপু ও নজরুল ইসলাম মৃধা।

সোমবার (২৬ নভেম্বর) ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সভায় মেরিনার্স ইয়াংস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান উল্লাহ খান রানা, সদস্য নজরুল ইসলাম মৃধা, মোহামেডান হকি দলের ম্যানেজার আরিফুল হক প্রিন্স, সহকারী ম্যানেজার আসাদুজ্জামান চন্দনকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করা হয়। মেরিনার্সের হাসান উল্লাহ খান রানা, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হকি ম্যানেজার আরিফুল হক প্রিন্স ও সহকারী ম্যানেজার আসাদুজ্জামান চন্দনকে ৫ বছর নিষিদ্ধ এবং এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে তাদের প্রত্যেককে আরো দুই বছর করে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়। এছাড়া, মেরিনার্সের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম মৃধাকে ৩ বছর নিষিদ্ধের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর সেই ম্যাচের টেকনিক্যাল কর্মকর্তা নাজিরুল ইসলাম নাজুকে ৩ বছর হকির কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সভা শেষে হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক জানান, ‘বাইলজ অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ আছে। আম্পায়ারকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেছেন তারা। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে মাঠেই আম্পায়ারদের গালিগালাজ করার অভিযোগও ছিল। এদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি চারজন আগেও শাস্তি পেয়েছেন। এরা শুধু হকি অঙ্গনের নয়, দেশের সুনামও নষ্ট করেছে। সেই ম্যাচের আম্পায়াররা আন্তর্জাতিক সংস্থায় অভিযোগ করলে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনকে হয়তো শাস্তি পেতে হতো। আমাদের ভাগ্য ভালো যে তারা সেটা করেননি।’

বিজ্ঞাপন

সভায় আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো, প্রিমিয়ার লিগে অংশ না নেয়ায় সাবেক চ্যাম্পিয়ন উষা ক্রীড়া চক্রকে প্রথম বিভাগ লিগে নামিয়ে দেয়া।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন